Goa Club Fire: থাইল্য়ান্ডে গিয়ে ‘গা-ঢাকা’ দিয়েছে গোয়ার ক্লাবের দুই মালিক

Goa Club Owner Fled: কিন্তু একটা অগ্নিকাণ্ড ঘিরে এত কেন বিতর্ক? ঘটনা শনিবার রাতের। গোয়ার বাগা সমুদ্রসৈকতের কাছে স্থিতু আরপোরায় নৈশক্লাব। স্থানীয় এবং আগত পর্যটকদের মধ্য়ে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে এই ক্লাবের। ঘটনার দিন ১২টার সময় আচমকা আগুন লেগে যায় ক্লাবের অন্দরে। সাড়ে ১২টা নাগাদ খবর পৌঁছয় দমকলের কাছে।

Goa Club Fire: থাইল্য়ান্ডে গিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে গোয়ার ক্লাবের দুই মালিক
সৌরভ লুথ্রা ও গৌরব লুথ্রাImage Credit source: X

|

Dec 09, 2025 | 11:19 AM

গোয়া: নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ড, প্রশাসনকে ‘ফাঁকি দিতে’ দেশছাড়া দুই মালিক। গোয়ার সেই ক্লাবের আগুনের ঘটনায় চড়েছে উত্তেজনা। মৃত্য়ু হয়েছে ২৫ জনের। সংশ্লিষ্ট ক্লাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে গাফিলতিরও। সূত্রের খবর, এই আবহেই ক্লাবের কর্তাদের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে ব্লু কর্নার নোটিস। তবে এই নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও কিছু জানায়নি প্রশাসন।

কী এই ব্লু কর্নার নোটিস? এই নোটিস ইন্টারপোল বা আন্তর্জাতিক পুলিশ বাহিনীর অন্তর্গত। সাধারণভাবে কোনও অভিযুক্ত যদি দেশছাড়া হন, তখন অন্য়ান্য দেশের প্রশাসন ও সরকারকে সেই অভিযুক্ত সম্পর্কে অবগত করতে এই ইন্টারপোলের ব্লু কর্নার নোটিস জারি করা হয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোয়ার ওই ক্লাবের দুই মালিক, যথাক্রমে গৌরব লুথ্রা এবং সৌরভ লুথ্রার বিরুদ্ধে সম্ভবত এই নোটিস জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, এদের আরেক সঙ্গী অজয় গুপ্তর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিস জারি করেছে পুলিশ।

কিন্তু একটা অগ্নিকাণ্ড ঘিরে এত কেন বিতর্ক? ঘটনা শনিবার রাতের। গোয়ার বাগা সমুদ্রসৈকতের কাছে স্থিতু আরপোরায় নৈশক্লাব। স্থানীয় এবং আগত পর্যটকদের মধ্য়ে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে এই ক্লাবের। ঘটনার দিন ১২টার সময় আচমকা আগুন লেগে যায় ক্লাবের অন্দরে। সাড়ে ১২টা নাগাদ খবর পৌঁছয় দমকলের কাছে। আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে দমবন্ধ ধোঁয়ার কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ সূত্রে খবর, শনির দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ২৫ জনের। যার মধ্যে মোট ১৪ জন ক্লাবেরই কর্মী।

ইতিমধ্য়েই পুলিশের নজরে চলে এসেছিল নৈশক্লাবটি। নথিপত্র খতিয়ে দেখতে গিয়ে ওঠে নানা গাফিলতির অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ক্লাবের অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে গাফিলতি রয়েছে। ছিল না দমকলের ছাড়পত্র। অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রেরও অভাব ছিল। তারপরেও দিনের পর দিন লক্ষ-লক্ষ টাকা কামিয়েছে সংশ্লিষ্ট ক্লাবটি। এরপরই ক্লাবের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে তাঁরা দেশছাড়া। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার বিমান চেপে থাইল্যান্ডে চলে যায় এই দুই অভিযুক্ত। সেখানেই আপাতত গা ঢাকা দিয়েছে তাঁরা।