সুইসাইড নোটে চার জনের সই, দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেই চমকে গেল পুলিশ
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন বিজয় মধুকর পাচোরি, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের ছেলে গণেশ ও দীপক। পুলিশ চারজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে।
মহারাষ্ট্র: দীর্ঘক্ষণ ধরে সাড়া না পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় থানা। পুলিশও এসে কোনও সাড়াশব্দ পায়নি। তারপর আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি তারা। সোজা ধাক্কা দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় দরজা। দরজা খুলতেই সবার চোখ কপালে। ঝুলন্ত অবস্থায় চার সদস্যকে দেখে চমকে যায় এলাকার মানুষজন।
মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ঘটনা। একই পরিবারের চারজনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও। এক দম্পতি এবং তাঁদের দুই সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিকভাবে সন্দেহ পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন বিজয় মধুকর পাচোরি, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের ছেলে গণেশ ও দীপক। পুলিশ চারজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সেই চিঠির বয়ান থেকে পুলিশ মনে করছেন, বড় ছেলে একটি মামলায় ফেঁসে যাওয়ায় তাঁর জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সেই কারণেই পরিবারের সবাই আত্মহত্যা করে। চিঠিতে চার সদস্যের স্বাক্ষরও আছে।
নাগপুর গ্রামীণ পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতারণার মামলায় তাঁদের ছেলেকে গ্রেফতারের কারণে পরিবারের সদস্যরা মানসিক চাপে ছিল। তিনি বলেন, পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। সুইসাইড নোটে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে মধ্যপ্রদেশের পান্ধুরনা থানায় হওয়া একটি প্রতারণার মামলায় বড় ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়। তা নিয়েই চলছিল মানসিক চাপ।