High Court: ‘নাবালিকা নিজের কৃতকর্মের ফল জানতেন’, পকসো মামলায় অভিযুক্তকে ‘মুক্তি’ দিয়ে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
High Court: ঘটনা ২০২০ সালের। নিজের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান এই নাবালিকা অভিযোগকারী। তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। সেই সময় মেয়ের হদিশ না পেয়ে তার প্রেমিকের ভাড়ার ফ্ল্যাটেও সন্ধানে যান নাবালিকার বাবা।

মুম্বই: পকসো মামলায় ২২ বছরের অভিযুক্তকে জামিন দিল আদালত। সোমবার ছিল এই মামলার শুনানি। বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি মিলিন্দ যাদবের বেঞ্চে উঠেছিল ২০২০ সালের একটি নাবালিকা ধর্ষণ মামলা। সেখানেই অভিযুক্তকে জামিনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। পাশাপাশি, তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘অভিযোগকারী নিজের কৃতকর্মের ফলাফল কী হতে পারে সেই সম্পর্কে প্রথম থেকেই জ্ঞাত ছিলেন।’
ঘটনা ২০২০ সালের। নিজের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান এই নাবালিকা অভিযোগকারী। তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। সেই সময় মেয়ের হদিশ না পেয়ে তার প্রেমিকের ভাড়ার ফ্ল্যাটেও সন্ধানে যান নাবালিকার বাবা। কিন্তু সেখানে অভিযুক্তকে না পেয়ে, কোনও ভাবে ফোন নম্বর জোগাড় করে তাকে ফোনও করেন। সেই সময় অভিযুক্ত তাকে জানিয়ে দেন যে ওই নাবালিকার সঙ্গে আর যোগাযোগ নেই তার।
এরপরেই দিন দুয়েক কাটতেই নাবালিকা আবার নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার বাবাকে জানায় যে সে আসলে ওই যুবকের সঙ্গেই তাদের গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। কিছু দিনেই ফিরে আসবে।
কেটে যায় দশ মাস। তখনই ঘটে বিপত্তি। অন্তঃসত্ত্বা হন ওই নাবালিকা। সেই সময় যুবককে ফোন করে বিয়ে করতে বললে, যুবক তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। নাবালিকা আদালতকে জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকে তাদের পরিচয়, যা সময়ের সঙ্গে প্রণয়ে পরিণত হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসে ওই নাবালিকাকে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তাব দেন যুবক। কিন্তু তিনি সেই সময় তাকে ফিরিয়ে দেন। এরপরেই লকডাউন পড়লে, সেই নিজের উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে ফিরে যায়। মাস কতক পর আবার মুম্বইয়ে ফিরেও আসে।
তখন মুম্বইতে ফিরেই ওই নাবালিকাকে নিয়ে প্রথমে দিল্লি, পরে উত্তরপ্রদেশ চলে যান যুবক। সেখানেই ঘটে যত কাণ্ড। যার জেরে যুবকের বিরুদ্ধে পকসো মামলায় অভিযোগ দায়ের হয়। এদিন ছিল সেই মামলারই শুনানি। যেখানে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘উভয়ের মধ্য়ে একটা প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের পরিণতিই এটা। এমনকি, অভিযোগকারী নিজের কৃতকর্মের ফলাফল সম্পর্কে পুরোপুরিভাবে জ্ঞাত ছিলেন।’





