Punjab: এই মা আর মেয়েকে চিনে রাখুন, ছেলেকে পাত্রস্থ করার আগে খুব সাবধান, কারণ জানলে মাথায় হাত পড়বে

Punjab: এরপর ভুয়ো এনগেজমেন্টের ব্যবস্থা করতেন সুখদর্শন। কখনও কখনও ভার্চুয়ালি এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠান হত। হরপ্রীতের ছবি রেখেও সেই অনুষ্ঠান হয়েছে। এরপরই পাত্রপক্ষের কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাইতেন সুখদর্শন। বলতেন, তাঁর মেয়েকে বিদেশে পড়াতে গিয়ে অনেক টাকা ঋণ হয়েছে।

Punjab: এই মা আর মেয়েকে চিনে রাখুন, ছেলেকে পাত্রস্থ করার আগে খুব সাবধান, কারণ জানলে মাথায় হাত পড়বে
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Meta AI

Jul 18, 2025 | 8:38 PM

লুধিয়ানা: কর্মসূত্রে মেয়ে কানাডায় থাকে। কোনও ভারতীয়কে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যেতে চান। বিদেশে বসবাস করতে ইচ্ছুক পাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাত্রীর মা। এনগেজমেন্টের দিন ঠিক হয়। তারপরই শুরু হয় আসল ‘খেলা’। যার ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে প্রায় নিঃস্ব হতে হয়েছে ৭ জন পাত্রকে। ঘটনাটি পঞ্জাবের লুধিয়ানার। কী সেই ‘খেলা’?

পুলিশ জানিয়েছে, লুধিয়ানার সুখদর্শন কৌরের বছর চব্বিশের মেয়ে হরপ্রীত কানাডায় থাকেন। মা-মেয়ে মিলে প্রতারণা চক্র চালাতেন। কীভাবে চলত প্রতারণা চক্র? পুলিশ জানিয়েছে, সুখদর্শন কৌর ম্যাট্রিমনিয়াল বিজ্ঞাপনে নজর রাখতেন। বিদেশে গিয়ে বসবাস করতে ইচ্ছুক, এমন পাত্রের খোঁজ পেলেই যোগাযোগ করতেন। পাত্রপক্ষকে জানাতেন, তাঁর মেয়ে কানাডার সারেতে পড়াশোনা করেছেন। সেখানে কর্মসূত্রে আপাতত রয়েছেন। পাত্রপক্ষের সঙ্গে মেয়ের ভিডিয়ো কলে কথাও বলাতেন।

এরপর ভুয়ো এনগেজমেন্টের ব্যবস্থা করতেন সুখদর্শন। কখনও কখনও ভার্চুয়ালি এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠান হত। হরপ্রীতের ছবি রেখেও সেই অনুষ্ঠান হয়েছে। এরপরই পাত্রপক্ষের কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাইতেন সুখদর্শন। বলতেন, তাঁর মেয়েকে বিদেশে পড়াতে গিয়ে অনেক টাকা ঋণ হয়েছে। অনেক আলোচনার পর পাত্রপক্ষ ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হত। পাত্রপক্ষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফারের কথা বলতেন সুখদর্শন। এই টাকা দিতে কেউ জমি বেচেছেন। কেউ সারাজীবনের সঞ্চয় তুলে দিয়েছেন।

কিন্তু, এনগেজমেন্টের অনুষ্ঠানের পরই বিয়ে নিয়ে টালবাহানা করতেন সুখদর্শন। কখনও কখনও পাত্রপক্ষের ফোন তুলতেন না। এভাবে কমপক্ষে ৭ জন পাত্রকে প্রতারণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সুখদর্শন ধরা পড়লেন কীভাবে? পুলিশ জানিয়েছে, গত ১০ জুলাই দোরাহার একটি হোটেলে হরপ্রীতের এমনই একটি এনগেজমেন্টের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে হরপ্রীত ছিলেন না। তাঁর একটা ছবি রাখা ছিল। ভাতিন্দার এক যুবক পুলিশকে এই নিয়ে খবর দেন। ওই যুবকও প্রতারণা শিকার হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই হোটেলে গিয়ে সুখদর্শনকে গ্রেফতার করে। তাঁর সঙ্গে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আরও তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।