কলকাতা : ইডি হেফাজতে কাটছে দিন। রয়েছেন দিল্লিতে (Delhi)। রাজধানীতে বসেই বিস্ফোরক কেষ্ট। স্পষ্ট দাবি, ‘আমার কিচ্ছু হবে না। আমার পিছনে দল আছে। আপনারা আমার কিছুই করতে পারবেন না।’ সূত্রের খবর, ইডি-র (ED) তদন্তকারী আধিকারিককে এ কথা বলেছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির ইস্যুতে কাউকে রেয়াত করা হবে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে কুন্তল-শান্তুনুকে বহিষ্কারের মাধ্যমে এই অবস্থান যেন স্পষ্ট করতে চেয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। যদিও বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি এখনও আছেন স্বমহিমায়। চলেনি কাঁচি। উল্টে কয়েকমাস আগে রামপুরহাটে অনুব্রতর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে কেষ্টকে ‘বাঘ’ এর সঙ্গে তুলনা করেন ফিরহাদ হাকিম।
গরু পাচার কাণ্ডে গত অগস্ট মাসে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টা। সিবিআই কেষ্টকে গ্রেফতার করলেও মাঠে নামে ইডিও। এদিকে শুধু ফিরহাদ নয়, অনুব্রতর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। অনুব্রতকে নিয়ে ভোটের রাজনীতি হচ্ছে। ভোটের রাজনীতির জন্যই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার এত ব্যস্ততা দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোট আসছে বলে? তাহলে পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত বা লোকসভা ভোট, ওরা অনেককে গ্রেফতার করবে। যাতে ভোট যেভাবেই হোক দখলে নিতে পারে। এটাই ওরা করে। ওদের অভ্যাস।” যা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলেও।
তবে মমতার এ মন্তব্যেই কী নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছেন কেষ্ট? উঠতে শুরু করেছে এই প্রশ্ন। অনুব্রত বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ উঠলেও দল কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? আদৌও কী কোনও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উত্তর, ‘অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা যথাসময়ে দল জানাবে।’