
নয়া দিল্লি: খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাল বিজেপি। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে করে কড়া বার্তা দেওয়া হল রাজ্য তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী ওই ঘটনার পর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তবে কি বাংলায় সাংসদ ও বিধায়কও নিরাপদ নন?’
সরকার ও ইন্ডিয়া জোট গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা। তাঁর উপর হামলার ঘটন মোটেই ভালভাবে নেয়নি বিজেপি।
সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “একজন এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতার উপর আক্রমণ করা হয়েছে। এটা ঠিক নয়।” এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “যখন প্রথম আদিবাসী হিসেবে প্রথমবার রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হন দ্রৌপদী মুর্মু, তখন হার জেনেও তৃণমূল বিরোধিতা করেছিল। এই হামলা থেকেই বোঝা যায় পশ্চিমবঙ্গের সরকার কতটা নিষ্ঠুর হয়ে উঠছে।” এই প্রসঙ্গে সন্দেশখালির কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিজেপি নেতা মুখ্যমন্ত্রীরে নিশানা করে বলেন, “এই ঘটনা প্রত্যেক বাঙালির কাছে লজ্জার। এটা রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা নয়। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে আসন্ন ভোটে জবাব পাবেন মমতা। ফলাফল জেনেই তৃণমূল এই কাজ করছে।” বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।
এদিকে, উত্তরবঙ্গে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সবাই একসঙ্গে সঙ্কটের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা দরকার। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না, এমন কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, যা কাম্য নয়। কারও উপর কোনও আঘাত নয়। যে যার মতো আসবে কথা বলবে চলে যাবে। সবার অধিকার আছে। আসুন সবাই মানুষের পাশে এসে দাঁড়াই।”