‘আতঙ্কিত হবেন না’, কোভিশিল্ডের ২ ডোজ়ের ব্যবধান নিয়ে সাফাই কেন্দ্রের
নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল জানান, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান কমানোর জন্য প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক গবেষণার।
নয়া দিল্লি: করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান নিয়ে সাধারণের মনে নানা প্রশ্ন উঠতেই আসরে নামল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।
ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কম হলেই কার্যকারিতা বেশি, এই ধরনের একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রেক্ষিতে নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল জানান, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান কমানোর জন্য প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক গবেষণার। ভারতের করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করেই সেই গবেষণার পরই এই বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব।
শুক্রবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়েই একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “ভ্যাকসিনের ডোজ়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রতিটি সিদ্ধান্তই অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে নিতে হবে। দুটি ডোজ়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ানোর সময় করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি আমরা চিন্তাভাবনা করেছি। তবে অন্যদিকে অধিকাংশ মানুষই কমপক্ষে ভ্যাকসিনের একটি ডোজ় পেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বেশি থাকবে, সেই দিকটিও ভাবা উচিত। সমস্ত দিকগুলির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।”
Decision regarding interval between 2 doses of #Covishield has been reviewed & updated based on scientific studies in context of prevailing #COVID19 scenario in our country.
Any changes in future too shall be taken by NTAGI guided by the same principles…https://t.co/XboPUAjU3b pic.twitter.com/q4lzgcpQmW
— Dr Harsh Vardhan (@drharshvardhan) June 12, 2021
অন্যদিকে, শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনও একটি টুইটে লেখেন, “কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি দেশের করোনা পরিস্থিতির উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়েও যদি সিদ্ধান্তে কোনও পরিবর্তন আনা হয়, তা এনটিএজিআই-র পরামর্শেই এক নীতি মেনেই হবে।”
আরও পড়ুন: জামিনে ‘কাঁটা’ পালানোর ইতিহাসই! ডমিনিকাতেই আপাতত জেলবন্দি থাকবেন অসুস্থ চোকসি