
ম্যাঙ্গালুরু: ৭৩ লক্ষ টাকা, মোটেই অল্প নয়, একটা বিরাট অঙ্কের টাকা। যা ঘিরে তছরুপের অভিযোগ। কোথায়? স্টেট ব্য়াঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মাল্পে শাখায়। ঘটনা কর্নাটকের উডুপি জেলার অন্তর্গত মাল্পে শহরের। সেখানে SBI-এর একটি শাখা ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজারের বিরুদ্ধেই উঠল এই অভিযোগ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়ম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়ার’ একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্য়ে মাল্পে থানায় ওই প্রাক্তন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্য়য় সংহিতার ৩৩৬-এর ২ ও ৩, ৩৪০-র ২, ৩১৬-এর ৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
কিন্তু কীভাবে এই আর্থিক তছরুপের কথা প্রকাশ্যে এল?
একটা ইমেইল প্রকাশ্যে এনেছে ব্য়াঙ্কের অন্দরে তলে তলে চলা তছরুপের কথা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিরামল ক্য়াপিটাল এবং হাউজিং ফিনান্স তরফে ওই ব্যাঙ্কের বর্তমান ম্যানেজার রাজেশ গণপতিকে একটি মেইল পাঠানো হয়। তাতেই এই ৭৩ লক্ষ টাকা আর্থিক তছরুপে অভিযোগ তোলে ওই সংস্থা।
ওই মেইলে বলা হয় ভুয়ো তথ্য ব্য়বহার করে গত ১১ অগস্ট ব্যাঙ্কের তরফে ১০ লক্ষ টাকা পাঠানো হয় জে সামুদা সুবর্ণ, নানথুর পাডু এবং কুলাসেখর নামে তিন জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। একই ভাবে ওই দিনেই আরও ১০ লক্ষ টাকা পাঠানো হয় শর্মিলা এস নামে আর একজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তারপর ১৪ অগস্ট ফের ৩ লক্ষ টাকা পাঠানো হয় আরও একটি অ্যাকাউন্টে। এরপর ১৬ অগস্ট পাঠানো হয় ২৫ লক্ষ টাকা এবং দিন পেরতেই ২২ অগস্ট আরও ২৫ লক্ষ টাকা পাঠানো হয় বেশ কয়েকটি অ্য়াকাউন্টে।
কিন্তু এই টাকা কে পাঠাল? যাদের কাছে গেল তারাই বা কারা? ওই পিরামল সংস্থার দাবি, ভুয়ো তথ্য ব্যবহার করে এই লেনদেন করা হয়েছে। যার মোট পরিমাণ ৭৩ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্য়ে ব্য়াঙ্কের বর্তমান ম্যানেজারকে এই সকল লেনদেন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিও পাঠিয়েছে ওই সংস্থার। তারপরেই তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজার।