Reservation in India: SC, ST এবং OBC-দের জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাই সংরক্ষণ, আসন্ন অধিবেশনেই আইন পাশের দাবি কংগ্রেসের

Reservation in Private Institutions: তাদের দাবি, ক্ষমতায় থাকাকালীন মনমোহন সিংয়ের সরকার সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫-তে সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ১৫ (৫) তৈরি করেছিল। যার মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও তফসিলি জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর গোষ্ঠীর পড়ুয়াদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

Reservation in India: SC, ST এবং OBC-দের জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাই সংরক্ষণ, আসন্ন অধিবেশনেই আইন পাশের দাবি কংগ্রেসের
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Getty Image

|

Sep 06, 2025 | 4:52 PM

নয়াদিল্লি: বেসরকারি শিক্ষাঙ্গনেও আসন সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে সরব কংগ্রেস। তারা সরকারে থাকাকালীন সংশোধনী আনলেও, তা মোদী সরকার এখনও কার্যকর করেনি বলেই অভিযোগ তুলল দেশের প্রধান বিরোধী দল। শুক্রবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক থেকেই তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর গোষ্ঠী সেলের চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র পাল গৌতম বলেন, “৯০ শতাংশ পিছিয়ে পড়া জাতি শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হন। উচ্চমানের শিক্ষা থেকে তারা বঞ্চিত।”

অবশ্য, এই বঞ্চনার দায় বিজেপির দিকে ঢেলেই দিচ্ছে কংগ্রেস। সওয়াল করছে বেসরকারি শিক্ষাঙ্গনে সংরক্ষণের জন্য। তাদের দাবি, ক্ষমতায় থাকাকালীন মনমোহন সিংয়ের সরকার সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫-তে সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ১৫ (৫) তৈরি করেছিল। যার মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও তফসিলি জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর গোষ্ঠীর পড়ুয়াদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট সেই সংশোধনীকে অনুমোদনও দেয়। কিন্তু তারপরেও তা কার্যকর না হওয়ার ফলে বেসরকারি শিক্ষাঙ্গনে আসন সংরক্ষণ এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।

কংগ্রেস নেতাদের দাবি, “গত ১১ বছর ধরে বিজেপি সরকার এই আইনটিকে চেপে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের স্পষ্ট দাবি, কেন্দ্র সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ মেনে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে এমন একটি আইন আনুক, যা ওই অনুচ্ছেদকে কার্যকর হতে সাহায্য করবে।”

এই পরিপ্রেক্ষিতে একটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয় ওই সাংবাদিক বৈঠকে। সামনেই বিহারের নির্বাচন। আর সেই নিরিখে জাতপাতের গণনার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতের হিসাবটা তুলে ধরে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে তফসিলি পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ০.৮৯ শতাংশ। তফসি লি জনজাতির সংখ্যা ০.৫৩ শতাংশ। আর ওবিসি বা অন্যান্য অনগ্রসর গোষ্ঠীর পড়ুয়া রয়েছে ১১ শতাংশ। যা বাড়ানো প্রয়োজন বলেই মত কংগ্রেসের।