নয়া দিল্লি: অনলাইনে খাবার অর্ডার করার প্রবণতা গত কয়েক বছরে বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। বিশেষত করোনা পরিস্থিতির পর থেকে আর শুধুমাত্র শহরে সীমাবদ্ধ নেই এই প্রবণতা। ভারতের এই অনলাইনে খাবার ডেলিভারির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে Zomato(জোম্যাটো)। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করায় বেড়েছে বিশ্বাসযোগ্যতাও। দূরের রেস্তোরাঁর খাবার বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে। হাতে পাওয়ার পর গরম থাকছে খাবার। এ পর্যন্ত সব ঠিকই আছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, যে রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করেছেন, সেই রেস্তোরাঁ থেকেই খাবার পাচ্ছেন তো আপনি? নাকি অন্য কোনও রেস্তোরাঁর খাবার ভাল কন্টেনারে ভরে দেওয়া হচ্ছে আপনাকে? একটি মামলা হওয়ার পরই এই অভিযোগ সামনে আসছে।
দিল্লির একটি আদালতে মামলা চলছে জোম্যাটো-র বিরুদ্ধে। সংস্থার কর্তাদের তলবও করেছে আদালত। অভিযোগ, দিল্লির একাধিক রেস্তোরাঁর খাবারের নামে অন্য রেস্তোরাঁর খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। কার্যত প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সংস্থার বিরুদ্ধে। ‘দিল্লি কি লেজেন্ডস’ নামে একটি সাব ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে জোম্যাটো অ্যাপেয সেখানে শহরের নামী রেস্তোরাঁ থেকে খাবার ডেলিভারি দেওয়া হয়।
সম্প্রতি গুরুগ্রামের বাসিন্দা সৌরভ মাল মামলাটি করেছেন। অভিযোগ, গত বছরের ২৪ অক্টোবর খাবার অর্ডার করেছিলেন তিনি। জামা মসজিদ, কৈলাশ কলোনি ও জাঙ্গপুরা এলাকা থেকে ওই খাবার অর্ডার দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ট্র্যাক করতে গিয়ে তিনি দেখতে পান ওই এলাকা থেকে নয়, তাঁর বাড়ির কাছাকাছি এলাকা থেকেই খাবার নিয়ে আসছেন ডেলিভারি পার্টনার। এরপরই মামলা করেন তিনি।
মামলকারীর প্রশ্ন, কেন অন্য জায়গা থেকে খাবার আনা হল? খাবারটা যে টাটকা, তার কী গ্যারান্টি আছে? মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে জোম্যাটো কীভাবে দিল্লির আইকনির রেস্তোরাঁগুলো থেকে খাবার অর্ডার দিচ্ছে? এই আবেদন শোনার পর বিচারক সংস্থার কর্তাকে তলব করেছেন।