Covid in UP: উত্তর প্রদেশে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে করোনা, দাবি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের
Yogi Adityanath: যোগী জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি করোনা পরীক্ষা করিয়েছে। রাজ্যে করোনা পজিটিভিটি মাত্র ৫ শতাংশ। "রাজ্যে দ্রুত গতিতে করোনা টিকাকরণের কাজ চলছে। এখনও অবধি ২ কোটি করোনা টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে
লখনউ: ভারতে ফের একবার ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। তারমধ্যে করোনার নয়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্ক রয়েছেই। ইতিমধ্যেই বর্ষবরণের উৎসবে দাঁড়ি টেনেছে বেশ কিছু রাজ্য। অনেক রাজ্যের জারি হয়ে নতুন বিধি নিষেধ। ভোটমুখী উত্তর প্রদেশেও ওমিক্রন সংক্রমণ শুরু পর বাড়তি সতর্কতা হিসেবে নৈশকালীন বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। করোনার এই সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই নতুন দাবি করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুক্রবার তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে করোনা ভাইরাসের দাপট। অতিমারির কারণে জনগণকে অকারণে চিন্তিত না হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী।
রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে করোনা চিকিৎসাপ বন্দোবস্ত ও অক্সিজেন প্ল্যান্ট খতিয়ে দেখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “রাজ্যে এই মূহুর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৮২৯। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৬২ জনেরই মৃদু সংক্রমণ রয়েছে এবং তার সকলেই বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন। ভাইরাস ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছে। কিন্তু ভাইরাস যেন বৃদ্ধি না পায় সেই জন্য সতর্কতা ও নজরদারি প্রয়োজন।”
যোগী জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি করোনা পরীক্ষা করিয়েছে। রাজ্যে করোনা পজিটিভিটি মাত্র ৫ শতাংশ। “রাজ্যে দ্রুত গতিতে করোনা টিকাকরণের কাজ চলছে। এখনও অবধি ২ কোটি করোনা টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।” বলেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাই সংক্রমণ রোধেই রাজ্যে রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা অবধি নাইট কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। নাইট কার্ফুর পাশাপাশি সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কোনও বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠানে ২০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না।
উল্লেখ্য, সারা দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৭০ দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। তার মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে বেড়েছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। গোটা দেশের সার্বিক করোনাগ্রাফে সামান্য পরির্বতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬৪ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১৩ হাজার ১৫৪ ৬ হাজার ৩৫৮ জন। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ২২০ জন। এদিকে,দেশে ৭ হাজার ৫৮৫ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬৩ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।