নয়া দিল্লি: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) আপাতত রাখা হয়েছে তিহাড় জেলে (Tihar Jail)। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও (Sukanya Mondal) রয়েছেন তিহাড়ে। জেলের ৬ নম্বর মহিলা সেলে রয়েছেন সুকন্যা। আর কেষ্ট রয়েছেন তার পরের ৭ সেলে। একই জেলে থাকলেও গ্রেফতারির পর থেকে এতদিন পর্যন্ত কেষ্ট বা সুকন্যার দেখা বা কথা কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত শনিবার বাবা-মেয়ের দেখা হল তিহাড়ে। অল্প কিছু সময়ের জন্য সাক্ষাৎ হল কেষ্ট ও সুকন্যার। এর আগে বৃহস্পতিবার যখন কেষ্টকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই সময়েই জানা গিয়েছিল শনিবার মেয়ের সঙ্গে কথা হবে অনুব্রতর। সেই মতো নিয়ম মেনে আজ তিহাড়েই বাবা-মেয়ের কথা হল। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মেয়ে সুকন্যাকে দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
বৃহস্পতিবার যখন কেষ্টকে দিল্লির রাউজ় এভিনিউ কোর্টে পেশ করা হয়েছিল সেই সময় সুকন্যার বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ‘শনিবার দেখা করব। ও তো আমার মেয়ে। একশোবার দেখা করব।’ সেই সময় কেষ্টর কথা থেকেই বোঝা গিয়েছিল, মেয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য কতটা মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। বেশ আবেগঘন ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।
সেদিন আদালত কক্ষেও মেয়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন কেষ্ট। ইডির অফিসারদের প্রশ্ন করেছিলেন, ‘মেয়েকে অ্যারেস্ট করে নিলেন? বিবেক বলে তো কিছু আছে নাকি?’ শুধু বৃহস্পতিবারই নয়, মেয়ের গ্রেফতারির পর থেকেই বেজায় চটে রয়েছেন তিনি। সুকন্যাকে ইডি গ্রেফতার করার পর কেষ্টর প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, মেয়ের গ্রেফতারি অন্যায়। মেয়েকে গ্রেফতার করে কোনও ‘বাহাদুরির’ কাজ করা হয়নি বলেও মন্তব্য করেছিলেন ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল। এবার এতদিন পর মেয়ের সঙ্গে দেখা হল অনুব্রতর। এতদিন পর মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে বেশ তিনি বেশ আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।