CPI MP: ‘রাজ্যপাল পদ তুলে দেওয়া হোক’, সংসদে বিল পেশ সিপিআই সাংসদের
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্যে প্রকট হয়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের পর বর্তমানে কেরল, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানাতেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল সংঘাত বর্তমানে তুঙ্গে উঠেছে।
নয়া দিল্লি: কেরল, তামিলনাড়ু সহ বিভিন্ন রাজ্যেই রাজ্যপাল (Governor) পদের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এবং বিরোধী দলের রাজ্য সরকারকে বিপদে ফেলতে নিজেদের অনুগত মানুষদের রাজ্যপাল পদে বসিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও এই অভিযোগ উঠেছে। তবে এবার এক ধাপ এগিয়ে রাজ্যপাল পদ অপসারণের দাবি জানিয়ে সংসদে বিল পেশ করলেন সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম।
কেরলের সাংসদ বিনয় বিশ্বম রাজ্যসভার সদস্য। বৃহস্পতিবার তিনি ‘রাজ্যপাল পদ তুলে দেওয়া হোক’ দাবি জানিয়ে সংসদে বিল পেশ করলেন। ব্যক্তিগত সদস্য বিলের (Private Member’s Bill) অধীনেই সংসদে এই বিল পেশ করেছেন কমিউনিস্ট পার্টির সাংসদ।
অন্যদিকে, দিন কয়েক আগে প্রায় একই বিষয় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এম.কে স্ট্যালিনেরও কথা হয়। স্টালিন নিজেই বিষয়টি জানিয়ে টুইট করেছিলেন। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালদের অগণতান্ত্রিক কার্যকারিতার বিরুদ্ধে আমাদের সংহত উদ্যোগের প্রশংসা করে আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন এবং পরামর্শ দিয়েছিল যে, সমস্ত বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মিলিত হন।
প্রসঙ্গত, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্যে প্রকট হয়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের মধ্যে যেমন বারেবারে সংঘাত প্রকট হয়ে উঠেছিল, তেমনই বর্তমানে কেরল, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানাতেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল সংঘাত বর্তমানে তুঙ্গে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল পদ অপসারণের দাবি ক্রমশ জোরাল হচ্ছে অ-বিজেপি দলগুলির মধ্যে। রাজ্যপাল ‘কেন্দ্রের হাতের পুতুল’ বলেও কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। তারপর এদিন সিপিআই সাংসদের রাজ্যপাল অপসারণের বিলের পরোক্ষ সমর্থন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। রাজ্যপাল পদের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বাজার দর বাড়লে আমাদের কেন বাজার দর বাড়বে না- এরকম মনোভাবে রাজ্যপাল পদটা ব্যবহার করা উচিত নয়। রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদ। হাতি পোষা পদ বলে আমরা মনে করি। আমরা ওই পদটা পছন্দ করি না। প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কিন্তু, যতক্ষণ কেউ ওই পদে আছেন, তিনি সংবিধানের চৌহদ্দির মধ্য়েই থেকে কাজ করুন, এটাই হওয়া উচিত।”