নয়া দিল্লি: হঠাৎ সুপ্রিম কোর্টে হাজির বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক। দেশদ্রোহে অভিযুক্ত অপরাধীকে শীর্ষ আদালতে দেখে চমকে যান আইনজীবী থেকে বিচারপতিরা। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে সশরীরে আদালতে হাজিরার পরই কেন্দ্রের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এই ঘটনার পরই তিহার জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জেলের চার আধিকারিককে বরখাস্ত করা হল।
জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিক সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত। হাই প্রোফাইল এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা দীর্ঘদিন ধরেই তিহার জেলে বন্দি। কিন্তু শুক্রবারই সকলকে অবাক করে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয় ইয়াসিন মালিক। তাঁকে দেখেই সকলের প্রশ্ন, কীভাবে ইয়াসিন মালিক আদালতে এলেন? তাঁকে কি কেউ আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল? সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রশ্ন করেন, এই ব্যক্তি আদালতে এল কী করে? বিচারপতিরাও জানান, তাঁরাও ওই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন। ইয়াসিন মালিককে তো সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়নি। তাহলে কীভাবে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সুপ্রিম কোর্টে হাজির হল?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও এই নিয়ে চিঠি লেখেন তুষার মেহতা। চিঠিতে তিনি লেখেন, “এটা নিরাপত্তায় অত্যন্ত গুরুতর খামতি। এক ব্যক্তি যার সঙ্গে অতীতে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ যোগ রয়েছে, যে শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদতের মামলায় নয়, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, সে সহজেই আদালত থেকে পালিয়ে যেতে পারত বা জোর করে তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়া কিংবা খুন করা হতে পারত।”
সলিসিটর জেনারেল ও শীর্ষ আদালতের এই উদ্বেগ প্রকাশ করার পরই এ দিন তিহার জেল কর্তৃপক্ষ চার আধিকারিককে বরখাস্ত করে। জানা গিয়েছে, একজন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট সহ দুই সহকারী সুপার ও তিহার জেলের অন্য এক কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।