হাথরাস: ছোট জায়গায় বড় জমায়েতের আয়োজন করাটাই কি কাল হল? নাকি সৎসঙ্গে ছিল না কোনও শৃঙ্খলাই? এই উত্তর জানতে ভোলেবাবা-কে খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেলেও, এখনও দেখা নেই বাবা-র। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১৬-তে। লাশের যে ছবি সামনে আসছে, তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে প্রশাসনিক কর্তারা। মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর প্রদেশের হাথরাসে একটি ‘সৎসঙ্গ’ তথা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। অনুষ্ঠান শেষে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের।
স্বঘোষিত ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানেই গিয়েছিলেন ভক্তরা। সেই ‘সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবা’কে ঘটনার পর থেকে খুঁজছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইতিমধ্যেই। পুলিশের অনুমান, ফুলরাই গ্রাম, অর্থাৎ যেখানে ওই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরে মাইনপুরীর আশ্রমে রয়েছেন ‘ভোলেবাবা’।
হাথরাসে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। নামানো হয়েছে ডগ স্কোয়াড। ফরেনসিক পরীক্ষাও চলছে। একযোগে কাজ করছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ, এনডিআরএফ। পুলিশের একাংশ মনে করছে, ছোট জায়গায় জমায়েত হওয়ার ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আরও জানা যাচ্ছে যে বাবা-র গাড়ি না বেরনো পর্যন্ত ভক্তদের ওই জায়গা ছেড়ে যেতে দেওয়া হয়নি। এরপর বেরনোর সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
সৎসঙ্গে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করার জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে মৃত ১১৬ জনের মধ্যে ১০৬ জন মহিলা অথবা শিশু। মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে, আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে।