ঢাকা: বাংলাদেশের পরিস্থিতি গত কয়েকদিনে ক্রমশ খারাপের দিকে গিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে কোটা বা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন চলছে, তাতে ক্রমশ বাড়ছে রক্তপাত। শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০। শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকা নয়, চট্টগ্রাম, রংপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী পথে নেমে আন্দোলন করছেন। আর সেই আন্দোলনরত পড়ুয়াদের আটকাতে কড়া হাতে নেমেছে সরকার। এখনও পর্যন্ত ১০৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ জুড়ে। শুক্রবার রাত থেকে আরও কড়া পদক্ষেপ করেছে শেখ হাসিনা সরকার। গোটা দেশে কার্ফু জারি করে দেওয়া হয়েছে। সেনা নামানোরও নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
এই পরিস্থিতিতে দলে দলে ভারতীয় পড়ুয়ারা বাংলাদেশ ছাড়ছেন। যে যেভাবে পারছেন বাংলাদেশ থেকে বেরনোর চেষ্টা করছেন। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র শুক্রবার সীমান্ত পার করেছেন ৩০০ জন ভারতীয় পড়ুয়া।
জানা যাচ্ছে, ত্রিপুরার আগরতলার কাছে আখুড়া ও মেঘালয়ের ডাউকি দিয়ে ভারতে ফিরছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের মধ্যে কেউ উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা, কেউ হরিয়ানা অথবা কাশ্মীরের। এই পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশে এমবিবিএস পড়ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
গত সোমবার থেকেই আন্দোলন ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করে। একের পর এক মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় কি না, সেই দিকে নজর রাখছিলেন পড়ুয়ারা। সম্প্রতি সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা। এই অবস্থায় শেষ পর্যন্ত দেশের ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেকেই।
হরিয়ানার বাসিন্দা আমিরও সদ্য ফিরেছেন বাংলাদেশ থেকে। তিনি জানান, চট্টগ্রামের মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করতেন তিনি। আন্দোলনের জেরে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা দেখেছেন তিনি। বিমানের টিকিট না পেয়ে ফিরেছেন স্থলপথেই। কেউ কেউ ৬-৭ ঘণ্টা ট্যাক্সিতে চেপেও ফিরেছেন ভারতে। বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকেও ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতীয়দের। খোলা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের ওপরে জায়গা দিতে হবে মেধাকে, এই দাবিতেই বাংলাদেশে চলছে এই আন্দোলন।