
নয়াদিল্লি: তৈরি থাকতে বলা হয়েছিল আত্মঘাতী হামলার জন্য। দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে এবার উমরের সন্দেহভাজন সঙ্গীকেই পাকড়াও করল পুলিশ। ধৃতের নাম জাশির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশ। শ্রীনগরে গিয়ে এনআইএ-এর একটি প্রতিনিধি দল প্রথমে আটক করে তাঁকে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে দানিশ উমরের অন্যতম সঙ্গী বলেই সূত্র মারফৎ খবর পায় তাঁরা। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান। আটক করা হয় উমরের ‘সঙ্গীকে’।
দিন তিনেক আগে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ থেকে আটক করা হয় সন্দেহভাজন দানিশকে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় উমরের সঙ্গে বসে এই হামলা ছক কষেছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, দানিশ নিজেও একজন আত্মঘাতী জঙ্গি হিসাবেই নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কারণে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। আর বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই তাঁকে প্রথমে আটক, পরে জেরায় উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা।
কিন্তু উমরের সঙ্গে কীভাবে আলাপ হয় দানিশের? দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে তাঁর ভূমিকাই বা কী ছিল? তদন্তকারীদের দানিশ জানিয়েছেন, কাশ্মীরের একটি মসজিদে উমরের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। সেই থেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁদের মধ্যে। এরপর উমরই তাঁর মাথায় ‘জিহাদের স্বপ্ন বুনতে’ শুরু করেন। উমরের কথাতেই, নিজেকে আত্মঘাতী হামলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে শুরু করেন দানিশ।
অভিযুক্ত দানিশের বুদ্ধিমত্তা নজর কেড়েছে তদন্তকারীদের। সে ড্রোন, রকেটের মতো মারণাস্ত্র বানাতে পটু। এমনকি, দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডেও সেই মারণাস্ত্র তৈরি করেছিল দানিশ। তুলে দিয়েছিল উমরের হাতে। ইতিমধ্যেই দানিশকে দফায় দফায় জেরা করছেন তদন্তকারীরা। তবে ছেলে বিরুদ্ধে জঙ্গি-যোগের অভিযোগ উঠতেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্য়া করেছেন দানিশের বাবা।