Delhi Blast: তিন হাত ঘুরে পৌঁছেছে পুলওয়ামার তারিকের কাছে! দিল্লির বিস্ফোরণে নজরে জনৈক সলমনের গাড়ি

Delhi Blast Hyundai i20: সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা সংলগ্ন সিগন্যালে এসে দাঁড়াল একটি ছোট গাড়ি। তারপরই বিস্ফোরণ। প্রথমে মনে করা হয়েছিল কোনও পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অভিঘাতের মূল কেন্দ্রের হদিশ পায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই সেই সন্দেহভাজন গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা।

Delhi Blast: তিন হাত ঘুরে পৌঁছেছে পুলওয়ামার তারিকের কাছে! দিল্লির বিস্ফোরণে নজরে জনৈক সলমনের গাড়ি
ডানদিকে সন্দেহভাজন তারিকImage Credit source: X | PTI

|

Nov 11, 2025 | 9:16 AM

নয়াদিল্লি: রাস্তায় চাপ-চাপ রক্তের দাগ। কোথাও আবার ছড়িয়ে দেহাংশ। রাজধানীতে লালকেল্লার কাছে ঘটা বিস্ফোরণ ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। আত্মঘাতী হামলা নাকি নেপথ্য অন্য কোনও চক্রান্ত? নেই তো সন্ত্রাসবাদীদের হাত? সমস্ত প্রশ্নই ভাবাচ্ছে দিল্লি পুলিশকেও।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা সংলগ্ন সিগন্যালে এসে দাঁড়াল একটি ছোট গাড়ি। তারপরই বিস্ফোরণ। প্রথমে মনে করা হয়েছিল কোনও পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অভিঘাতের মূল কেন্দ্রের হদিশ পায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই সেই সন্দেহভাজন গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাড়িটি হুন্ডাইয়ের আই২০। যার নম্বরপ্লেট হরিয়ানার। এই গাড়ির মালিকের নাম মহম্মদ সলমন। তাঁর নামেই রয়েছে রেজিস্ট্রেশন। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছেন অন্য কথা। জনৈক সলমনের দাবি, দেড় বছর আগে এই গাড়িটি দক্ষিণ দিল্লির ওখলার বাসিন্দা দেবেন্দ্রকে বিক্রি করে দেন তিনি। গাড়ি বিক্রির সমস্ত কাগজপত্র পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন সলমন।

সূত্রের খবর, দেবেন্দ্রর পর এই গাড়িটি হাত বদলে পৌঁছে যায় হরিয়ানার অম্বলার এক বাসিন্দার কাছে। অবশ্য, এই পর্বে একটু ধন্দই রয়েছে তদন্তকারীদের। এরপর কাহিনীতে ‘এন্ট্রি’ হয় তারিকের। তিনি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা। এবার তিনি এই গাড়িটি কাউকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের এই ঘটনায় ইতিমধ্য়ে প্রাণ গিয়েছে আট জনের। আহত প্রায় ২০ জন। গোটা ব্যাপারটাই এখনও ধোঁয়াশা। ঠিক কীভাবে ঘটল, কেন ঘটল, কারা করল, কিছু স্পষ্ট নয়। এদিন এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘আমাদের অনুমান সম্ভবত কেউ প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে যাচ্ছিল। সেটার ফলেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে।’