Delhi Blast: দিল্লির বিস্ফোরণের নেপথ্যে জইশ-ই-মহম্মদ? পুলিশের জালে মাসুদের মহিলা গোষ্ঠীর প্রধান
Delhi Blast Another Detained: আদিলের সূত্র ধরে আরেক চিকিৎসকের খোঁজ পায় কাশ্মীর পুলিশ। নাম মুজাম্মিল আহমেদ। পুলওয়ামার বাসিন্দা মুজাম্মিল থাকত হরিয়ানার ফরিদাবাদে। সেখানে একটি হাসপাতালে কর্মরত ছিল সে। অভিযোগ, তাঁর সাহায্যেই ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক এবং অস্ত্রশস্ত্র কাশ্মীর থেকে এনেছিল আদিল। সোমবার ফরিদাবাদের যে বাড়ি থেকে এই বিরাট পরিমাণ বিস্ফোরক বা আরডিএক্সের মশলা পাওয়া গিয়েছে, সেখানেই ভাড়া থাকত মুজাম্মিল।

নয়াদিল্লি: মাঝে এক মাসের ব্যবধান। মহিলা ব্রিগেড খোলা হবে ঘোষণা করেছিল জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ। তবে ঘোষণাই সার নয় তাদের। ব্রিগেড খুলে ভারতে মহিলা বাহিনীর প্রধানও নিয়োগ করে ফেলেছে তারা। দিল্লির বিস্ফোরণ-কাণ্ড দেশজুড়ে সাড়া ফেলতেই সেই মহিলা প্রধানের হদিশ পেয়ে গিয়েছে পুলিশ। এতদিন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হেফাজতেই ছিল সেই জঙ্গি প্রধান। কিন্তু পরিচয় প্রকাশ্যে এল অনেক পড়ে।
১৯ অক্টোবর, কাশ্মীরে নাশকতা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ গোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছে বলে খবর পায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এরপরই তদন্তে নামে তাঁরা। অভিযোগ, ওই দিনই শ্রীনগরে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে দেওয়ালে-দেওয়ালে সাঁটানো হয় পোস্টার। আর এই অভিযোগে চিকিৎসক আদিল আহমেদ র্যাদারকে গ্রেফতার করে কাশ্মীর পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে শুরু হয় জেরা।
আদিলের সূত্র ধরে আরেক চিকিৎসকের খোঁজ পায় কাশ্মীর পুলিশ। নাম মুজাম্মিল আহমেদ। পুলওয়ামার বাসিন্দা মুজাম্মিল থাকত হরিয়ানার ফরিদাবাদে। সেখানে একটি হাসপাতালে কর্মরত ছিল সে। অভিযোগ, তাঁর সাহায্যেই ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক এবং অস্ত্রশস্ত্র কাশ্মীর থেকে এনেছিল আদিল। সোমবার ফরিদাবাদের যে বাড়ি থেকে এই বিরাট পরিমাণ বিস্ফোরক বা আরডিএক্সের মশলা পাওয়া গিয়েছে, সেখানেই ভাড়া থাকত মুজাম্মিল। তবে সে একা নয়, মুজাম্মিলের পাশাপাশি আরও এক মহিলা চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাম শাহিন শাহিদ।
এই শাহিন শাহিদ কিন্তু সাধারণ কোনও চিকিৎসক নয়। সূত্রের খবর, এই শাহিন জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা ব্রিগেড ‘জামাত-উল-মোমিনাত’-এর ভারতীয় শাখার প্রধান। বলে রাখা প্রয়োজন, জইশদের মহিলা ব্রিগেডের একেবারে মাথায় বসে রয়েছে জইশ-প্রধান মাসুদ আজ়হারের বোন। সুতরাং শাহিনের যে ওই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিতে পারছে না পুলিশ।
দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে ফরিদাবাদ?
এই প্রশ্ন আপাতত ভাবাচ্ছে দিল্লি পুলিশকে। ফরিদাবাদ থেকে যে চিকিৎসক গ্রেফতার হয়েছে তার সঙ্গে যোগ রয়েছে পুলওয়ামার চিকিৎসক উমর নবির। সূত্রের খবর, দিল্লির ওই ‘ঘাতক’ গাড়িতে উমরই ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছে তার ছবি। তা হলে কি মুজাম্মিল গ্রেফতার হতেই আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল উমর ও তার সহযোগীরা?
