Molestation Case: মহিলা নেশাগ্রস্ত মানেই পুরুষের জন্য সুযোগ নেওয়ার লাইসেন্স নয়: আদালত
Delhi Court: বিচারক বলেন, অভিযোগকারিণী যদি ডেকেও থাকেন, তার অর্থ তাঁকে চুম্বন করার অনুমতি দেওয়া নয়।
নয়া দিল্লি: একজন মহিলা নেশাগ্রস্ত থাকার অর্থ এই নয় যে তাঁর পুরুষ বন্ধু ওই অবস্থার সুযোগ নেবে। শ্লীলতাহানির মামলায় অভিযুক্তের দোষ প্রমাণিত না হলেও, কড়া বার্তা দিয়েছেন দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক সুনীল গুপ্তা। অভিযোগ, মামলাকারী এক নেশাগ্রস্ত মহিলাকে চুম্বনের চেষ্টা করেছিলেন, মহিলা বাধা দিলে তাঁকে চড়ও মারেন। একটি মহিলা আদালত ওই যুবককে দোষী বলে উল্লেখ করেছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হন ওই যুবক।
মহিলা আদালত দুটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছিল ওই মামলাকারীকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ অর্থাৎ জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও ৩২৩ অর্থাৎ ইচ্ছাকৃত আঘাত করার অভিযোগ ওঠে। দায়রা আদালতের বিচারকের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্ত ওই মহিলাকে চুম্বনের চেষ্টা করে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন ও চড় মেরে আঘাত করেছেন।
অভিযুক্তের যুক্তি ছিল, মহিলাকে মারধরের অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই। তিনি যে নেশাগ্রস্ত ছিলেন, তা প্রমাণ করতে কোনও মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়নি। বিচারক বলেন, একজনকে একটা চড় মারার ঘটনাই ৩২৩ ধারায় মামলা হওয়ার জন্য যথেষ্ট। সেই সঙ্গে বিচারক আরও বলেন, যদি মেডিক্যাল পরীক্ষায় এটা প্রমাণিত হত যে মহিলা ঘটনার সময় নেশাগ্রস্ত ছিলেন, তাহলেও তাঁর পুরুষ বন্ধুর তাঁকে চড় মারার বা কোনও সুযোগ নেওয়ার লাইসেন্স মিলত না।
অভিযুক্তের আরও দাবি, ওই মহিলাই তাঁকে ডেকেছিলেন। এ কথা শুনে বিচারক বলেন, অভিযোগকারিণী যদি ডেকেও থাকেন, তার অর্থ তাঁকে চুম্বন করার অনুমতি দেওয়া নয়। তবে, অভিযুক্তের দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি পান অভিযুক্ত।