Cash For Query Case: ‘ভুল বুঝেছেন…’ CBI চার্জশিট জমার নির্দেশ উড়িয়ে মহুয়াকে স্বস্তি দিল হাইকোর্ট
Mahua Moitra News: গত ২১ নভেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে মহুয়ার চ্যালেঞ্জের শুনানি শেষ হয়েছিল। রায়দান স্থগিত রেখেছিল বেঞ্চ। অবশেষে প্রায় এক মাস পর এল রায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতের লোকপাল সংশ্লিষ্ট লোকপালের আইনের বিধানগুলি বুঝতে 'ভুল করেছেন'।

নয়াদিল্লি: সাময়িক ভাবে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের মামলায় বন্ধ হল কাটাছেঁড়া। শুক্রবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বড় স্বস্তি প্রদান করল দিল্লি হাইকোর্ট। সাংসদের বিরুদ্ধে চলা মামলায় লোকপালের দেওয়া নির্দেশকে ‘ভুল’ বলে উল্লেখ করল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল এবং বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথ শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল রায়দানের পালা। সম্প্রতি মহুয়া বিরুদ্ধে চলা ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের মামলায় সিবিআই চার্জশিট জমা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল লোকপাল আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। এজলাসে লোকপালের দেওয়া নির্দেশকে বাতিলের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন মহুয়ার সওয়ালকারী নিধেশ গুপ্ত।
গত ২১ নভেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে মহুয়ার চ্যালেঞ্জের শুনানি শেষ হয়েছিল। রায়দান স্থগিত রেখেছিল বেঞ্চ। অবশেষে প্রায় এক মাস পর এল রায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতের লোকপাল সংশ্লিষ্ট লোকপালের আইনের বিধানগুলি বুঝতে ‘ভুল করেছেন’। তাই এক মাসের মধ্য়ে পুনরায় মহুয়ার বিরুদ্ধে চলা মামলা নিয়ে বিবেচনা করে ফের নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর মহুয়ার বিরুদ্ধে চলা ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের মামলায় সিবিআইকে চার্জশিট জমা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল লোকপাল আদালত। সেই সময় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ২০১৩ সালের লোকপাল আইনের ধারা ২০(৭) এবং ধারা ২৩(১) অনুযায়ী, সিবিআইকে চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট জমা করতে হবে। পাশাপাশি, সেই চার্জশিটের একটি প্রতিলিপি লোকপাল দফতরেও পাঠাতে হবে। তবে চার্জশিট জমা দেওয়ার পরই যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে এমনটা নয়। লোকপাল আদালতের চেয়ারপার্সন জানিয়েছিলেন, ‘চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেই সিবিআইয়ের দ্বিতীয় আবেদনটি বিবেচনা করা হবে। তার আগে আইনি প্রক্রিয়া নয়।’ এরপরেই এই নির্দেশের বিরোধিতা করে সরব হন মহুয়া।
