
নয়াদিল্লি: বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চেয়ে দিল্লির এক আদালতে দ্বারস্থ হলেন ২০২০ সালের হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত শারজিল ইমাম। রাজধানীর করকরডুমা আদালতে দুই সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আবেদন পত্র অনুযায়ী, আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল জীবন থেকে বিরতি চান শারজিল। সোমবার করকরডুমা আদালতে অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (এএসজে) সমীক বাজপেয়ীর কাছে এই আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
২০২০ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় পথে নেমেছিলেন শারজিল-উমর খালিদরা। কিন্তু সেই আন্দোলন-বিক্ষোভই যেন তাঁদের জীবনে পরবর্তী সময়ে কাল হয়ে ওঠে। শারজিলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ মামলা রুজু করেছিল দিল্লি পুলিশ। এই একই মামলায় নাম জড়িয়েছিল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী উমর খালিদ, আতহার খান, খালিদ সাইফি, মোহাম্মদ সেলিম খান, শিফা উর রহমান, মিরান হায়দারের-সহ মোট ১৮ জনের। শারজিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই হিংসাপর্বের সময়কালে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বিদ্বেষমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই ভাষণ নিয়েও বেশ তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। একাংশের অভিযোগ, শারজিলের ভাষণকে বিকৃত করে মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিহারের ভূমিষ্ঠ পুত্র শারজিল ইমাম। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ও কৃতি ছাত্র সে। জন্ম জাহানাবাদ জেলার কাকো গ্রামে। বাবা বরাবরই যুক্ত ছিলেন রাজনীতির সঙ্গে। ২০০৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জনতা দল (ইউনাইটেড)-র টিকিটে প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এবার সেই শারজিলও বিহারের আসন্ন নির্বাচনে যোগ দিতে চান ভোটের লড়াইয়ে।
এদিন আদালতে জমা দেওয়া আবেদন পত্রে কেজরিওয়ালের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন শারজিলের আইনজীবী। তাঁর দাবি, বিহারের ভোটে মনোনয়ন জমা দিতে ও প্রচারের কাজে অন্ততপক্ষে দু’সপ্তাহের সময় প্রয়োজন। বর্তমানে জেএনইউ প্রাক্তনীর মা অসুস্থ হওয়ায় এই কাজে তাঁকে তাঁর ভাই কোনও ভাবেই সাহায্য করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে ভোটের ময়দানে তাঁকেই নামতে হবে। ঠিক যেমন ভাবে নেমেছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সুপ্রিম নির্দেশ মেনেই ভোটপ্রচার করেছিলেন তিনি।