
আহমেদাবাদ: তাঁর মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু রয়ে গিয়েছে তার করা অভিযোগ। এই বোয়িং ৭৮৭ যার ‘ব্যর্থতার’ শিকার হতে কতগুলো তাজা প্রাণকে, সেই সময়েই মাথা চাড়া দিয়ে উঠল পুরনো অভিযোগগুলো। যা মানুষের চোখের সামনে তুলে দিয়ে গিয়েছিলেন বোয়িং নামক বিমান নির্মাণকারী মার্কিন সংস্থায় উচ্চ পদে কর্মরত জন বার্নেট।
জন আজ আর নেই। গত বছর মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সেই নিয়ে আবার হয়েছে জল ঘোলা। তিনি বোয়িং সংস্থার ৩২ বছর ধরে গুণমান পরীক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ভেঙে পড়তেই, ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ওই ব্যক্তির ফেলে রাখা প্রশ্ন গুলো।
কী করেছিলেন জন?
বোয়িং ৭৮৭ সিরিজ, যা তৈরি হয়েছিল তাঁরই তত্ত্বাবধানে, সেই বিমান নিয়ে একের পর এক অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। সংস্থার কর্মী থাকাকালীনই বোয়িংয়ের তৈরি একাধিক বিমান নিয়ে সরব হন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বোয়িং ৭৮৭। অনেক দিন ধরেই বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছিলেন জন বার্নেট। কিন্তু গত বছর রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় জনের।
বোয়িংয়ের গঠনগত ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সেই সংস্থার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার ফুয়েপ লার্ফাগেজও। বলা চলে জনের মতো তিনিও এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বোয়িং ড্রিমলাইনারের বডি যে বস্তু দিয়ে তৈরি তা দাহ্য পদার্থ। এমনকি, ভাল্ভে কিছু সমস্য থাকায় এই বিমানে যে কোনও মুহূর্তে আগুন ধরার সম্ভবনা থাকে। বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে বিকিয়েছে বোয়িং। তবে এদিনের দুর্ঘটনা সেই ত্রুটির ফল কিনা তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি। এমনকি, সেই একাধিক অভিযোগের পরে এটাই বোয়িং ড্রিমলাইনারের সঙ্গে ঘটা প্রথম কোনও বিমান দুর্ঘটনা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের ঘটনা নিয়ে বিবিসি-র সামনে মুখ খুলেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, ‘আমরা গোটা ঘটনার বিষয়ে বিশদে তথ্য পেয়েছি। সবিস্তারে জানার চেষ্টা করছি।’