IndiGo Crisis: চাকরি যেতে পারে ইন্ডিগোর সিইও-র, আশ্বাস মন্ত্রীর! তলব করল DGCA

DGCA on IndiGo Crisis: গত সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে বিমান বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে ইন্ডিগো। দেশের একাধিক বিমানবন্দরে বাতিল হয়েছে একের পর এক উড়ান। যা অব্য়াহত রয়েছে আজও। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধেও অব্য়াহত ভোগান্তি। এদিন বেলা ১২টা পর্যন্ত বাতিল হয়েছে ইন্ডিগোর ১০০-এর বেশি উড়ান।

IndiGo Crisis: চাকরি যেতে পারে ইন্ডিগোর সিইও-র, আশ্বাস মন্ত্রীর! তলব করল DGCA
ইন্ডিগোর সিইওকে তলবImage Credit source: PTI

|

Dec 10, 2025 | 4:48 PM

নয়াদিল্লি: অব্য়াহত সঙ্কট। উড়ান বাতিলের সংখ্যা তুলনামূলক কমেছে, কিন্তু সম্পূর্ণ নয়। আর এই আবহেই ইন্ডিগোর সিইওকে তলব করল উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট বিমান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার সিইও পিটার এলবার্সকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন।

অবশ্য় ইন্ডিগোর সিইও যে একা আসবেন এমনটা নয়। জানা গিয়েছে, সিইও পিটার এলবার্স-সহ সংস্থার বিভিন্ন কর্তাদের তলব করেছে তারা। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটের মধ্যে হাজিরা দিতে হবে তাঁদের। পাশাপাশি সঙ্কট কতটা মোচন হল, নতুন বিমান চালক নিয়োগের কাজ কতটা এগোল, পাশাপাশি যাত্রীরা রিফান্ড পেলেন কিনা, প্রতিটি বিষয়েই তথ্য় জানাতে হবে দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

একদিকে ইন্ডিগোর উপর যখন ‘ক্ষেপে’ রয়েছে ডিজিসিএ। সেই আবহে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক। এদিন মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, ‘শুধু ইন্ডিগো নয়, ডিজিসিএ-কেও তদন্তের আওতায় আনা হবে।’ তিনি এও স্পষ্ট করেছেন যে প্রয়োজন পড়লে সিইও-কে বরখাস্ত করার নির্দেশ পর্যন্ত দেওয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে বিমান বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে ইন্ডিগো। দেশের একাধিক বিমানবন্দরে বাতিল হয়েছে একের পর এক উড়ান। যা অব্য়াহত রয়েছে আজও। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধেও অব্য়াহত ভোগান্তি। এদিন বেলা ১২টা পর্যন্ত বাতিল হয়েছে ইন্ডিগোর ১০০-এর বেশি উড়ান। বিপর্যয় শুরুর পর আট দিন কেটে গেলেও এখনও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভাবে সামাল দিতে পারেনি তাঁরা। যার দরুন বাড়ছে কোম্পানির ক্ষতির পরিমাণও।

ইন্ডিগো জানিয়েছে, পয়লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিপর্যয়ের কারণে শুধুমাত্র মুম্বই বিমানবন্দরেই ৪০ হাজার যাত্রী বিপদের মুখে পড়ে। এমনকি, এই সময়কালে মুম্বই বিমানবন্দরেই বাতিল হয়েছে ৯০৫টিরও বেশি বিমান।