
প্রয়াগরাজ: ৪৫ দিন ব্যাপী মহাকুম্ভ মেলা পৌঁছে গিয়েছে তার শেষ ক্ষণে। হাতে আর দিন তিনেক। তারপরে দাঁড়ি টানা হবে এই পুণ্য উৎসবে। আগামী ২৬ তারিখ, একেবারের শিবরাত্রির দিনেই শেষ হবে মহাকুম্ভ। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনিক মহল সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৬০ কোটির অধিক পুণ্যার্থী ডুব দিয়েছেন মহাকুম্ভের মহাসঙ্গমে।
তবে এই মহাকুম্ভ ঘিরে তৈরি হওয়া ‘অতিউৎসাহের’ মাশুলও গুনতে হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। অতিরিক্ত ভিড়ের জেরে মহাকুম্ভ ঘিরে দু’বার ঘটে গিয়েছে পদপিষ্টের ঘটনা। প্রথম ঘটনাটি ঘটে, একেবারে মহাসঙ্গমের কাছে। সেই বার মৃত্যু হয় ৩০ জনের। গুরুতরভাবে আহত হন ৬০ জনেরও অধিক।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে, প্রয়াগরাজ থেকে অনেকটা দূরে নয়াদিল্লি স্টেশনে। মহাকুম্ভের ট্রেন নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রাটের জেরে সেই বার পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মোট ১৮ জনের। তবে এত ভিড়ের মধ্য়ে না ঢুকে কিন্তু মহাকুম্ভে যাওয়া সম্ভব। আর সেই সম্ভবনাকে কাজে লাগিয়ে ‘আজব’ ব্যবসা খুলে ফেলেছেন খোদ প্রয়াগরাজেরই এক যুবক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সেই ব্য়বসার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। আর তারপরই ভাইরাল হলেন যুবক। একটি ভিডিয়োয় যুবককে বলতে দেখা গিয়েছে যে, ‘আমি মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের ডিজিটাল স্নান করাই।’ কিন্তু কী এই ডিজিটাল স্নান? হয়টাই বা কীভাবে? তাও পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেন সেই যুবক। তাঁর কথায়, ‘আমার নাম দীপক গোয়েল। আমি এই প্রয়াগরাজেই থাকি। যারা ডিজিটাল স্নান করতে চান, তাদেরকে হোয়াটসঅ্যাপ মাধ্যমে নিজেদের একটি ছবি আমাকে পাঠিয়ে দিতে হবে। তারপর আমি সেই ছবি নিয়ে গিয়ে প্রিন্ট আউট বের করিয়ে মহাসঙ্গম থেকে ডুব দিইয়ে নিয়ে আসব।’
তবে বিনামূল্যে কিন্তু হবে না ‘ডিজিটাল স্নান’। সেই ব্যবসায়ীর কথা এই ‘ডিজিটাল স্নান’ নাকি তাঁর তৈরি করা একটি স্টার্টআপ বা নতুন ব্যবসা। এই পরিষেবা পেতে গেলে গ্রাহকের মোট খরচ পড়বে মাত্র ১১০০ টাকা। সেই ব্যাক্তির দাবি, পেমেন্টের ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই মহাসঙ্গমে ছবি নিয়ে ডুব দিয়ে নিয়ে আসবে সে। এমনকি, আপনার ছবি যে সঙ্গমে ডুব দেওয়ানো হয়েছে তার একটি ভিডিয়ো পাঠিয়ে দেওয়া হবে আপনাকে।