
নয়াদিল্লি: নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারে সুপ্রিম হস্তক্ষেপ? শীর্ষ আদালতে জমা পড়া কমিশনের হলফনামা ঘিরে এখন সেই প্রশ্নই উঠছে। পাশাপাশি, কখন ভোটার তালিকার বিশেষ এবং নিবিড় পরিমার্জন করাতে হবে, সেই বিচক্ষণতা তাদের রয়েছে বলেই দাবি কমিশনের।
কেন হলফনামা দিল কমিশন?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি অশ্বিনী কুমার উপাধ্য়ায় নামে এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের SIR প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের আর্জি জানায়। আদালত যাতে প্রতিটি নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে ভোটার তালিকার সমীক্ষাকে বাধ্যতামূলক করে দেয়, সেই আর্জি জানিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হন তিনি।
পাল্টা কমিশন একটি হলফনামা দিয়ে জানায়, নির্দিষ্ট সময় অন্তর দেশজুড়ে এসআইআর বা ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন করানোর নির্দেশ তাদের কাছে এলে, তা কমিশনের এই বিশেষ সাংবিধানিক ক্ষমতা বা এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করার শামিল হবে। কমিশন আরও জানিয়েছে যে ভোটার তালিকার পরিমার্জনের কখনও প্রয়োজন, তা তাদের বিচক্ষণতার আওতায় রয়েছে।
এই হলফনামায় সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের কথাও উল্লেখ করে কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন করানো, ভোটার তালিকার সমীক্ষা এবং নির্বাচন সংক্রান্ত নানা কাজ কমিশনের ক্ষমতার অন্তর্গত আর এটি কমিশনের ‘বিশেষত্বকেই’ নৈতিক ভাবে তুলে ধরে।
গত ১০ তারিখ অর্থাৎ বুধবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অপর নির্বাচন কমিশনারেরাও। সূত্রের খবর, আগামী মাস অর্থাৎ অক্টোবরেই দেশজুড়ে এসআইআর শুরু করে দিতে পারে কমিশন। তাই তার আগে এটি ছিল প্রস্তুতি বৈঠক।