
নয়াদিল্লি: সাইবার নিরাপত্তা জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার থেকে ফোনের মধ্য়ে আগে থেকেই ইনস্টল থাকবে ‘সঞ্চার সাথী’ অ্য়াপ। সোমবার সন্ধ্য়ায় এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে টেলিকম মন্ত্রক। এমনকি, এই মর্মে মোবাইল নির্মাণকারী সংস্থাগুলিকেও প্রয়োজনীয় বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকার তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে –
প্রতিটি মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাকে তাঁদের নির্মিত মোবাইলে ‘সঞ্চার সাথী’ অ্য়াপ আগে থেকে ইনস্টল করা অবস্থায় রাখতে হবে। এই অ্যাপটি যে ফোনের মধ্যে রয়েছে, সেই নিয়ে গ্রাহক বা ইউজারকে আধারে রাখা যাবে না। এমনকি, অ্যাপটির কাজ সীমিত কিংবা নিষিদ্ধ করার কোনও অপশনও রাখা যাবে না।
কিন্তু যে সকল স্মার্ট ফোন ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে, ইউজাররা ব্য়বহার করছেন, তাতে ‘বিনা অনুমতিতে’ কীভাবে ‘সঞ্চার সাথী’ অ্যাপ ইনস্টল করা হবে? কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রক জানিয়েছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা একটি ‘সফ্টওয়্যার আপডেটের’ মাধ্যমে অ্যাপটিকে নির্দিষ্ট মোবাইলে ‘ইনস্টল’ করিয়ে দেবে। এই কাজের জন্য দেশের অন্দরে মোবাইল নির্মাণকারী সংস্থাগুলিকে ৯০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, নির্দেশিকা জারি হওয়ার ১২০ দিনের মাথায় এই মর্মে একটি রিপোর্টও পেশ করতে হবে সংস্থাগুলিকে।
চলতি বছরের শুরুতেই সাইবার সুরক্ষা সংক্রান্ত এই অ্য়াপটি প্রকাশ করে কেন্দ্র। মোবাইল ব্যবহারকারীদের যাবতীয় সুরক্ষা প্রদানে এই অ্যাপ অত্যন্ত কার্যকরী বলেই মনে করছে তারা। তবে আচমকাই ‘সঞ্চার সাথী’ নিয়ে এমন নির্দেশিকে সহজভাবে দেখছে না বিরোধী শিবির। নাগরিকদের ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে তাঁরা। এদিন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘ফোনের মধ্যে আগে থেকে ইনস্টল করা সরকারি অ্যাপ আসলেই রাষ্ট্রযন্ত্রের হাতিয়ার। এটিকে আবার আনইনস্টল করারও কোনও সুযোগ নেই। এটি প্রতিটি নাগরিকের গতিবিধির উপরেই নজরদারি চালাতেই তৈরি হয়েছে।’