Pak Drone Shot Down: গুঞ্জন শুনেই গুলি ছুঁড়েছিল বিএসএফ, গ্রাম ঘিরে তল্লাশি চালাতেই ধরা পড়ল পাকিস্তানের কারসাজি

Pak Drone Shot Down BY BSF: তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও সন্ত্রাসবাদীদের জন্য পাক সহায়তা অব্যাহত। বিএসএফ-এর তৎপরতায় ভেস্তে গেল কারসাজি।

Pak Drone Shot Down: গুঞ্জন শুনেই গুলি ছুঁড়েছিল বিএসএফ, গ্রাম ঘিরে তল্লাশি চালাতেই ধরা পড়ল পাকিস্তানের কারসাজি
ফের পাকিস্তান থেকে ভারতে ড্রোন মারফৎ উড়ে এল বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 10, 2023 | 5:40 PM

নয়া দিল্লি: তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও সন্ত্রাসবাদীদের জন্য পাক সহায়তা অব্যাহত। ফের পাকিস্তান থেকে ভারতে ড্রোন মারফৎ উড়ে এল বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র। তবে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি এড়াতে পারেনি ড্রোনটি। গুলি চালিয়ে সেটিকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে বিএসএফ। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ), পঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলায়। গুরুদাসপুরে নবী নগর নামে পাক সীমান্তবর্তী একটি গ্রামের কাছে ড্রোন ওড়ার গুঞ্জন শুনতে পেয়েছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা। শব্দ পেয়েই সেটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ড্রোনটি মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর, বিএসএফ পুরো গ্রামটি ঘিরে ফেলে অনুসন্ধান অভিযান চালায়। গ্রামের এক জায়গায় হেক্সাকপ্টারটি পাওয়া যায়। সেটিতে করে একটি একে সিরিজের রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন এবং ৪০টি বুলেট পাঠানো হয়েছিল।

এক সপ্তাহ আগেই, পঞ্জাবের অমৃতসরে আরও একটি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। ড্রোনটির ফরেনসিক বিশ্লেষণে জানা গিয়েছে, আগে সেটি চিনের কিছু অংশে এবং তারপর পাকিস্তানে ব্যবহার করা হয়েছিল। তারপর, সেটিকে ভারত-পাক সীমান্তে মাদক পাচারের জন্য ব্যবহার করা হয়। ফরেনসিক বিশ্লেষণে আরও জানা গিয়েছে, গত বছরের ১১ জুলাই চিনের সাংহাইয়ের ফেং জিয়ান জেলায় প্রথম ড্রোনটিকে ওড়ানো হয়েছিল। পরে, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে, পাকিস্তানের খানেওয়ালে অন্তত ২৮ বার ড্রোনটিকে ওড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, ওই ড্রোনটির ক্ষেত্রে চিন ও পাকিস্তানের সরাসরি যোগ পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার গুলি করে নামানো ড্রোনটিরও ফরেন্সিক বিশ্লেষন করা হচ্ছে।

বিএসএফ-এর মতে মাদক ও অস্ত্রশস্ত্র পাচারের জন্য ড্রোন ব্যবহার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। বিএসএফ-এর পদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন, যে ড্রোনগুলি গুলি করে নামানো হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলিতে হেরোইনের মতো মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। যার বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। কখনও কখনও জঙ্গিদের জন্য অস্ত্র পাঠাতেও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। গত মাসের শুরুতেই, পঞ্জাব এবং রাজস্থান সীমান্ত দিয়ে একাধিক ড্রোন ব্যবহার করে হেরোইন পাঠানোর চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছিল বিএসএফ। কমপক্ষে ১৮.৭৮ কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে বিএসএফ-এর মতে পঞ্জাবের ভারত-পাক সীমান্তে বরাবর যেভাবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, তার প্রভাব ইতিমধ্য়েই দেখা যাচ্ছে। নজরদারি এড়াতে পঞ্জাবের কিছু মাদক চোরাচালানকারী এখন রাজস্থান সীমান্ত দিয়ে ড্রোন ব্যবহার করে হেরোইন আমদানী করছেন।

২০২১ সালের জুনে জম্মুতে অবস্থিত ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন মারফৎ হামলা চালানো হয়েছিল। দুটি জোরাল বিস্ফোরণে ঘাঁটিটির ক্ষতি হয়েছিল। দুই জন জওয়ান আহত হয়েছিলেন। সেটাই ছিল ভারতে হওয়া প্রথম ড্রোন হামলা। তারপর থেকে গত দুই বছরে একের পর এক ড্রোন উড়ে এসেছে পাক সীমান্ত পেরিয়ে। কখনও এসেছে মাদক, কখনও অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক। ভারত সরকারও ড্রোন বিষয়ে নতুন নীতি গ্রহণ করেছে। সীমান্ত এলাকায় ড্রোন হানার উপর বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে।