
চেন্নাই: ইডির এক্তিয়ার কতটা? এই নিয়ে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে কম নয়। এবার সেই প্রশ্নটা উঠল মাদ্রাজ হাইকোর্টেও। এদিন বিচারপতি এম এস রমেশ ও বিচারপতি ভি লক্ষ্মীনারায়ণের বেঞ্চে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ইডি কোনও ‘সুপার কপ‘ নয় যে তাদের নজরে আসা প্রতিটা বিষয় নিয়েই তদন্তে নেমে পড়তে হবে। কোনও একটি অপরাধ সংগঠিত হলে, ইডিকে দেখতে হবে, সেটি তাদের তদন্ত ক্ষমতার আওতাধীন কিনা। সাধারণ ভাবে, আর্থিক তছরুপের মামলার আওতাধীন অপরাধগুলির ভিত্তিতেই তদন্তে নামার ক্ষমতা রয়েছে ইডি। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতিদের মুখে শোনা গেল সেই প্রসঙ্গটাই।
বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ, যদি আগে কোনও অপরাধের ইঙ্গিত না পাওয়া যায় তবে সেই ক্ষেত্রে পিএমএলএ বা আর্থিক তছরুপের অধীনে মামলা করে তদন্ত শুরু করা অপ্রত্যাশিত। এরপরেই ইডিকে ড্রোনের সঙ্গে তুলনা করে বিচারপতিরা বলেন, এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনও ড্রোন নয় যে যখন খুশি ইচ্ছামতো আক্রমণ করা যেতে পারে।
কিন্তু কোন প্রসঙ্গে ইডিকে শৃঙ্খলার পাঠ পড়াল আদালত?
জানা গিয়েছে, আরকেএম পাওয়ারজেন প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই সংস্থা বিদ্যুৎ তৈরি করে থাকে। যার জন্য কয়লা মন্ত্রকের তরফ থেকে খনন কাজের জন্য এই সংস্থা একটি কোল ব্লক বরাদ্দ করা হয়। সেই বরাদ্দ অবৈধ অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের একটি জনস্বার্থ মামলার দায়ের। যার ভিত্তিতে প্রথমে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কিন্তু ২০১৭ সালে তারা তদন্ত বন্ধ করে দেয়। অন্যদিকে ইডি নিজেদের তদন্তকাজ বহাল রাখে। এমনকি, গত ৩১ জানুয়ারি ওই সংস্থার ৯০১ কোটি টাকার আমানত ফ্রিজ করে দেয় তারা। তখনই ইডির ‘অ্যাকশনের‘ বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে দ্বারস্থ হয় সংস্থা। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টে।