নয়া দিল্লি: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ইডি হেফাজতের (ED Custody) মেয়াদ আজই শেষ হচ্ছে। মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশ করার কথা ছিল তাঁকে। সেই মতো সকালে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আদালতে পেশ করার আগেই ফের তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে ইডির দফতরে। জানা যাচ্ছে, এদিন বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে কেষ্ট মণ্ডলকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রাউজ এভিনিউ আদালতে না নিয়ে গিয়ে, তাঁকে ফের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ইডি দফতরে। আপাতত সেখান শেষ মুহূর্তের জেরা পর্ব চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
অনুব্রতর ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে এবং আপাতত কেষ্টকে ইডি হেফাজতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই জানা যাচ্ছে। আদালত অনুব্রতর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলে, বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে পাঠানো হতে পারে তিহাড় জেলে। এমন অবস্থায় শেষ দিনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের এই তৎপরতা স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছু প্রশ্ন উসকে দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ইডির হাতে কোনও বড় তথ্য এসেছে? সেই কারণেই কি শেষ মুহূর্তে কেষ্ট মণ্ডলকে আরও একবার জেরা করা হচ্ছে আদালতে পেশের ঠিক আগে? যদিও সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে দফায় দফায় জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেষ্টর হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। বার বার দিল্লিতে ইডি অফিসে ডেকে পাঠানো হচ্ছে কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। যদিও বার বার হাজিরা এড়াচ্ছেন তিনি। এমন অবস্থায় শেষ মুহূর্তে অনুব্রতকে জেরা করে গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত আরও তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।