Anubrata Mondal in Recruitment Scam: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতেও অনুব্রতর নাম! জেরা করতে চায় ED
Anubrata Mondal in Recruitment Scam: গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন। এবার আরও একটি দুর্নীতিতে উঠে আসছে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির নাম।
নয়া দিল্লি: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের জয় খুশি করেছে তিহাড়-বন্দি অনুব্রতকে। তবে জেল মুক্তি কবে হবে? সেই উত্তর এখনও পাননি তৃণমূলের জেলা সভাপতি। গরু পাচার মামলায় প্রায় এক বছর ধরে জেলে রয়েছেন বীরভূমের একসময়ের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এবার আরও এক দুর্নীতিতে সামনে আসতে পারে তাঁর নাম। সূত্রের খবর নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে কেষ্ট মণ্ডলকে। এই বিষয়েই আধিকারিকরা অনুব্রতকে জেরা করতে পারেন বলে ইডি সূত্রের খবর।
অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বিশেষ আবেদন জানিয়েছে ইডি। আগামী ২০ জুলাই বিচারক রঘুবীর সিং-এর বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি রয়েছে। ইডি-র আর্জি আদালতে মঞ্জুর হলে তারা তিহাড় জেলে বন্দি নেতার বয়ান রেকর্ড করতে পারবে। আর তখনই অনুব্রতকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালত থেকে বারবার ফিরতে হয়েছে অনুব্রতকে। আসানসোল জেলে ফেরানোর আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি খুব একটা। এক মামলার শুনানিতে ইডি-র আইনজীবী নীতেশ রানা অনুব্রতকে বলেছেন, আগামী কয়েক বছরের জন্য দিল্লিকেই ঘর-বাড়ি বানিয়ে ফেলুন। আর এবার আরও এক দুর্নীতির অভিযোগ। তবে ইডি-র কাছে এই অভিযোগের কোনও সূত্র আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
নিয়োগ দুর্নীতিতে শাসক দলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে। জেলে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহার মতো নেতা। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা, সব ক্ষেত্রেই টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে গত এক বছরে সেই দুর্নীতির তদন্তে কখনও অনুব্রতর নাম সামনে আসেনি। এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা কী এমন তথ্য পেল! সেই উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়।