
নয়াদিল্লি: জাতীয় নির্বাচন কমিশন বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরই বড় দাবি করেছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তাঁর নাম খসড় ভোটার তালিকায় নেই বলে তিনি দাবি করেন। তাঁর এই দাবি নস্যাৎ করে কমিশন জানিয়ে দেয়, খসড়া ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তেজস্বীর। তবে তেজস্বীর দেওয়া এপিক নম্বর ও কমিশনের দেওয়া এপিক নম্বর ভিন্ন ছিল। এই নিয়ে এবার কমিশন বড় পদক্ষেপ করল। তেজস্বীর কাছ থেকে তাঁর এপিক নম্বরের সম্পূর্ণ তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠাল।
বিহারে ভোটার তালিকায় সংশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিরোধীরা। গত ১ অগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। খসড়া ভোটার তালিকায় ৬৫ লক্ষের বেশি ভোটারের নাম নেই। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিহার বিধানসবার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, তাঁর নাম খসড়া ভোটার তালিকায় নেই। নিজের ভোটার কার্ডের EPIC নম্বরও জানান তিনি। বলেন, “আমার ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর RAB২৯১৬১২০।” এই এপিক নম্বরের ভোটার কার্ড ব্যবহার করেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করেন।
শনিবার তেজস্বীর এই সাংবাদিক বৈঠকের পরই কমিশন জানায়, খসড়া ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তেজস্বীর। কমিশন যে তালিকা দেখায়, সেখানে তেজস্বী যাদবের ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর RAB০৪৫৬২২৮। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, একজন ব্যক্তির ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর দুটি হয় কী করে?
এবার এই নিয়ে পদক্ষেপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তেজস্বী বিহারের দিঘা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার। সেখানকার ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার চিঠি লিখেছেন আরজেডি নেতাকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিক বৈঠকে তেজস্বী বলেছেন, তাঁর ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর RAB২৯১৬১২০। তাই, তেজস্বীকে ওই এপিক নম্বরের ভোটার কার্ডের সমস্ত তথ্য় কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিশন বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দেখবে। তবে কতদিনের মধ্যে তথ্য জমা দিতে হবে, তা বলা হয়নি চিঠিতে।
এই নিয়ে সরব হয়েছে এনডিএ-ও। আলাদা এপিক নম্বরের দুটি ভোটার কার্ড রাখা অপরাধ জানিয়ে তেজস্বীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা।