
নয়াদিল্লি: বাংলায় আজই ঘোষণা হবে এসআইআর? সেই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। কেউ কেউ বলছেন, শুধু বাংলায় নয়, এবার গোটা দেশজুড়ে এসআইআর ঘোষণা করতে চলেছে কমিশন। কিন্তু কেন এত জল্পনা-কল্পনা? কারণ একটাই, সোমবার বিকালেই সাংবাদিক বৈঠকে বসতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, ‘আধার নাগরিকত্ব ও ঠিকানার যথার্থ প্রমাণ নয়। সুপ্রিম কোর্ট আগেই বলে দিয়েছে, আধার কার্ডের ব্যবহার আধার আইন ধরেই হবে। আর আধার আইনে ৯নং ধারায় এটা স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, যে আধার কখনওই জন্ম ও ডোমিসাইল বা ঠিকানার প্রমাণ নয়। এটা শুধু পরিচয়পত্র হিসাবে কাজ করে। তাই সেই নিয়ম মেনেই আধারকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
জ্ঞানেশ কুমার বললেন, ‘বাংলা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উচিত নিজের দায়িত্ব পালন করা। ঠিক যেমন ভাবে নির্বাচন কমিশনার নিজের কাজ করছে। ঠিক সেই ভাবেই রাজ্য সরকারকেও নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
কমিশন জানিয়েছে, আগামিকাল থেকে শুরু হবে প্রশিক্ষণের কাজ। যা চলবে ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর ৪ঠা নভেম্বর থেকে ৪ঠা ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বাড়ি-বাড়ি এনুমেরাশেন ফর্ম দেওয়ার ও জমার কাজ। ৯ ডিসেম্বর সেই ফর্মের ভিত্তিতে প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। ওই দিন থেকে টানা ৮ই জানুয়ারি, ২০২৬ সাল পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে অভিযোগ, আবেদন। এই পর্বেই শুরু হয়ে যাবে বাড়ি-বাড়ি ভেরিফিকেশনের কাজ। যা চলবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ৭ই ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত তালিকা।
আগামিকাল থেকে বাংলায় শুরু হবে SIR, ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার বাংলা-সহ মোট ১২টি রাজ্য়ে SIR-এর ঘোষণা করে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এদিন তিনি জানালেন, ‘আন্দামান ও নিকোবর, ছত্তীসগঢ়, গুজরাট, গোয়া, কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, মধ্য প্রদেশ, পুদুচেরি, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আগামিকাল থেকে শুরু SIR।’
কমিশন জানিয়েছে, যে সকল রাজ্যে তাঁরা এসআইআর ঘোষণা করতে চলেছে। সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামিকাল বৈঠকে বসবে কমিশন।
২০০৩-এর সঙ্গে যদি যোগ না পাওয়া যায়, বাবা-মা না থেকে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে ইআরও নোটিস জারি করবে। নোটিসের পর শুনানি হবে। সেই শুনানিতে ইআরও প্রশ্ন করতে পারেন, ওই সময় সংশ্লিষ্ট ভোটাররা কোথায় ছিলেন? বা তাঁর বাবা-মা কোথায় ছিলেন?
কমিশন জানিয়েছে, বুথ লেভেল অফিসার তিনবার পর্যন্ত বাড়িতে যাবে। প্রথমবার যদি ভোটার বাড়িতে না থাকেন, তাহলে দ্বিতীয়বার যাবে। তারপরও না পেলে তৃতীয়বার যাবে। এছাড়াও, যদি ভোটারের মৃত্যু হয়, বা স্থায়ীভাবে বাইরে চলে গিয়েছে, বা একাধিক জায়গায় নাম নথিভুক্ত হয়ে গিয়েছে, তারা ফর্ম ফিল আপ করতে পারবেন না। এনুমারেশন ফর্ম পূরণের ক্ষেত্রে আর কোনও বাড়তি নথি দেখাতে হবে না। শুধু ২০০৩-এর ভোটারের সঙ্গে যোগ দেখাতে হবে।
যেসব রাজ্যে SIR পূর্ব-নির্ধারিত রয়েছে, সেখানকার ভোটার তালিকা সোমবার রাত ১২:০০ টা নাগাদ ফ্রিজ করে দেওয়া হবে বলেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে জানিয়েছে কমিশন।
রয়েছে অনলাইনের সুবিধা। SIR-র আবেদন করা যাবে অনলাইনেই। যারা কোনও কারণে বাড়িতে থাকবেন না বা কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন। তাঁরা নিজেদের রাজ্য়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বললেন, ‘SIR-এর সময় আধিকারিকরা সবার প্রথমে Enumeration Form প্রিন্ট করবে। তারপর তা বিএলও-রা ভোটারদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেবেন। সেই Enumeration Form-র ভিত্তিতে ভোটাররা নিজেদের নাম যাচাই করবেন। শেষ এসআইআর ভোটার তালিকায় কোনও ভোটারের নাম বা তাঁর বাবা-মায়ের নাম থাকলে দিতে হবে না কোনও কাগজ।’
জ্ঞানেশ বললেন, ‘ভারতের উন্নয়নের সাথে সাথে, মানুষের স্থানচ্যুতি বা স্থানান্তরের ফলে তাদের নাম দুটি জায়গায় তালিকায় আসে। নামও বাদ দেওয়া যেতে পারে, তাই তাদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। মৃত্যুর পরেও নাম বাদ দেওয়া হয় না। ভোটার তালিকায় বিদেশীদের অন্তর্ভুক্তি।’
১২ রাজ্যে শুরু হবে এসআইআর। সোমবারের বৈঠক থেকে দেওয়া হল সেই বার্তাই। জ্ঞানেশ কুমার বললেন, ‘এসআইআর-র দায়িত্ব যোগ্যদের রাখা, অযোগ্যদের বাদ দেওয়া। আর যে কোনও নির্বাচনের আগে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিহারে এসআইআর সফল হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ বা আবেদন আসেনি।’
ছট পুজো উপলক্ষে বিহারের এসআইআর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে শুরু হল আজকের কমিশনের বৈঠক। মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বললেন, ‘বিহারে এসআইআর সফল হয়েছে। এবার অন্য় রাজ্য়গুলিতেও দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের নেতৃত্বে সোমবার বিকালে শুরু হল নির্বাচন কমিশনের বিশেষ বৈঠক। এসআইআর-র ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে এই বৈঠক থেকেই?
সোমবার বিকাল ৪টে ১৫মিনিট থেকে সাংবাদিক বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। হাতে আর কয়েক মিনিট।তারপরই বার্তা দেবে কমিশন।