Karnataka Ex-Cop Death: গুগল দেখে খুনের ‘প্র্যাকটিস’? প্রাক্তন ডিজিপি-খুনে ধৃত স্ত্রীয়ের ফোন থেকে উদ্ধার বড় তথ্য
Karnataka Ex-Cop Death: প্রাক্তন পুলিশ কর্তার দেহ উদ্ধার হওয়ার সময় পেটে, বুকে একাধিক ক্ষতের হদিশ পায় পুলিশ। পরবর্তীতে এই মামলায় অন্যতম সন্দেহভাজন ওমের স্ত্রী ও মেয়েকে জেরা করে তারা।

বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের পুলিশের প্রাক্তন কর্তার মৃত্যু ঘিরে চড়ছে পারদ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় প্রাক্তন ডিজিপি ওম প্রকাশের স্ত্রী পল্লবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রাক্তন পুলিশ কর্তার দেহ উদ্ধার হওয়ার সময় পেটে, বুকে একাধিক ক্ষতের হদিশ পায় পুলিশ। পরবর্তীতে এই মামলায় অন্যতম সন্দেহভাজন ওমের স্ত্রী ও মেয়েকে জেরা করে তারা। সেই সময়ই মায়ের বিরুদ্ধে বাবাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন ছেলে কার্তিকেশ।
তাঁর অভিযোগ, মা পল্লবী সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়েছিলেন বাবা। চলে গিয়েছিলেন তাঁর নিজের বাড়ি। কিন্তু মৃত্যুর দু’দিন আগে প্রাক্তন IPS-কে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে আবার ঘরে ফিরিয়ে আনেন মেয়ে কৃতী। তারপরই এমন কাণ্ড। কার্তিকেশ পুলিশকে আরও জানিয়েছে, মা ও বোন সব সময়ই মানসিক বিষণ্ণতায় ভুগত। বাবার সঙ্গে ঝগড়া করত।
ইতিমধ্যে স্ত্রী পল্লবীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ও মেয়ে কৃতীকে একটি মনরোগ বিশেষজ্ঞ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রাক্তন ডিজিপির মৃত্যুর দিন কতক আগেই নিজের ফোনে গলার নলি কেটে কীভাবে খুন করা যায়, এই নিয়ে গুগল-সার্চ করেছিলেন তিনি। এরপরেই রবিবার ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, খুনের দিন সম্ভবত স্বামীর দিকে প্রথমে লঙ্কার গুড়ো ছুড়েছিলেন স্ত্রী পল্লবী। তারপর তাঁকে বেধে ভাঙা কাচের বোতল দিয়ে গলা-বুকে ক্রমাগত আঘাত করেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে বুঝতে পেরে নিজের এক বান্ধবীকে ফোন করে গোটা বিষয়টা জানান তিনি। সেই বান্ধবীই নিজের স্বামীকে জানাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। উদ্ধার হয় দেহ।

