
নয়াদিল্লি: সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভয় এখনও কাটেনি পাকিস্তানের। পহেলগাঁও হামলার পর দুই দেশের মধ্যে যখন তৈরি হয়েছে যুদ্ধ আবহ, সেই সময় আগেভাগেই বাড়তি সতর্কতা নিয়ে ফেলল পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত-পাক সীমান্তের সিয়ালকোট সেক্টরে নিজেদের ব়্যাডার সিস্টেমকে সরিয়ে এনেছে পাকিস্তানি সেনা। সম্ভবত ভারতীয় যুদ্ধবিমান ‘আনাগোনা’ বাড়াচ্ছে কিনা তা টের পাওয়ার জন্যই আগাম সর্তক হয়েছে তারা। পাশাপাশি, মজুত করা হয়েছে একাধিক বৈদ্যুতিক যুদ্ধ সরঞ্জামও। পাকিস্তানের এই সিয়ালকোট সেক্টরের অদূরেই রয়েছে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা।
বৃহস্পতিবার, পাকিস্তান জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক থেকে শিমলা চুক্তি স্থগিত করতেই বাড়াবাড়ি শুরু করে তাদের সেনাবাহিনী। এই চুক্তি ছিল পাকিস্তানের বাঁধন। যা তাদের মনে করাত, কীভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত তাদের নাকানিচোবানি খাইয়েছিল। কিন্তু সেই চুক্তিই আপাতত স্থগিত করে ‘শান্তিভঙ্গের’ চেষ্টা চালাচ্ছে পাক-সেনা।
গত পাঁচদিন ধরে রাতের দিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে এই পারে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে পাক ফৌজ। এমনকি, সেই সময় গুলি চালাতেও একবার পিছপা হচ্ছে না তারা। যখন তখন ভারতের দিকে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গুলি ছুড়ছে পাক সেনা। জবাব দিতে ছাড়ছে না ভারতও। এই প্রসঙ্গে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারও মাঝরাতে যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে পাকিস্তান। কুপওয়ারা ও বারামুল্লা জেলার ঠিক বিপরীতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে আখনুর সেক্টরে এসে গুলি ছোড়ে তারা।