সাত সকালে আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নৌ-সেনা

২০১৩ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এই ঐতিহাসিক রণতরী কেনে ভারত। মহারাজা বিক্রমাদিত্যকে সম্মান দিয়ে নামকরণ হয় আইএনএস বিক্রমাদিত্য।

সাত সকালে আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নৌ-সেনা
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 08, 2021 | 10:44 AM

মুম্বই: সাত সকালে আগুন লেগে যায় আইএনএস বিক্রমাদিত্যে (INS Vikramaditya)। কর্মরত সেনা আধিকারিকরা দেখেন রণতরী থেকে ধোঁয়া বেরচ্ছে। এরপরই সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায় নৌ-সেনা। কিছুক্ষণের প্রচেষ্টাতেই নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। সম্পূর্ণ ঘটনায় কোনও নৌ-সেনার আধিকারিক আহত হননি। আইএনএস বিক্রমাদিত্যেও বড় কোনও ক্ষতি হয়নি বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারতীয় নৌ-সেনা।

ইতিমধ্যেই আগুনের কারণ জানার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ-সেনার মুখপাত্র। কর্নাটকের কারওয়ার হারবারে দাঁড়িয়ে থাকার সময় বিক্রমাদিত্যতে আগুন লেগেছিল বলে জানা গিয়েছে। নৌ-সেনার আধিকারিকরাই অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আগুন নিভিয়েছেন। ধোঁয়া দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা সময় নষ্ট না করে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। সে জন্যই অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এই ঐতিহাসিক রণতরী কেনে ভারত। মহারাজা বিক্রমাদিত্যকে সম্মান দিয়ে নামকরণ হয় আইএনএস বিক্রমাদিত্য। ১৯৮৭ সাল থেকে রাশিয়ার নৌ-সেনার হয়ে কাজ করেছে এই রণতরী। টানা ৯ বছর নৌ-সেনার অংশ থাকার পর ১৯৯৬ সালে রাশিয়ার নৌ-সেনা থেকে বাদ পড়ে এই রণতরী। এরপর ভারতের নৌ-সেনায় যুক্ত হয় এটি। আইএনএস বিক্রমাদিত্য ২৮৪ মিটার লম্বা। যা তিনটি ফুটবল মাঠের সমান। ২০ তলা উঁচু এই রণতরীতে ২২টি ডেক রয়েছে। মোট ১৬০০ জন থাকেন এই রণতরীতে।

আরও পড়ুন: প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী রূপে করোনা ছড়ায় শিশুরা, চাঞ্চল্যকর তথ্য গবেষণায়