
উত্তরকাশী: মেঘভাঙা বৃষ্টি। হড়পা বান। সব মিলিয়ে উত্তরকাশী যেন ‘মৃত্যুপুরী’। মঙ্গলবার ১২ হাজার ৬০০ ফুট উঁচুতে মেঘভাঙা বৃষ্টি। তারপরই সেই বৃষ্টির জেরে নিমিষে হড়পা বান। পাহাড়ের বুক চিরে নেমে এল বিরাট জলের তোড়। আছড়ে পড়ল নিকটবর্তী ধরালী গ্রামে। ক্ষীরগঙ্গার এই রূপ শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোতের প্রবাহ ঘটাল এই দেশের প্রতিটি মানুষের।
কিন্তু তারপর কী পরিস্থিতি? কেমন আছে ধরালী? আদৌ কি আছে? এবার সেই খবর দিল উপগ্রহ চিত্র। ইসরোর উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল বিপর্যয়ের মাত্রা। বাড়ি-হোটেল সবই এখন মাথা অবধি ঢাকা কাদার স্তূপে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, হিমাবাহ ভেঙেই এতটা ভয়াবহ পরিণতি ঘটেছে। নিঁখোজ বহু মানুষ।
সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এই নিয়ে টানা তিন দিন ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। পিটিআই-কে ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭০ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে ৫০ জনের এখনও কোনও হদিশ নেই। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
জানা গিয়েছে, পাহাড় থেকে নেমে আসা পাথর, কাদার স্রোত ১৩.৫ একর এলাকা গ্রাস করে ভাগীরথীতে গিয়ে পড়েছে। এমনকি, ক্ষীরগঙ্গা ধরে নেমে আসা হড়পা বানের পথে বাঁক থাকায় সেখানে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে বানের গতিপথ বদলে গিয়ে পড়ে স্থানীয় হর্ষিল হেলিপ্যাড, সেনাছাউনি, ধরালী গ্রাম ও কল্প কেদার মন্দির। নিমিষে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এই জায়গাগুলি।