নয়াদিল্লি: তাঁর বাবা দেব রাজ খান্না ছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। কাকা হংস রাজ খান্না (এইচআর খান্না) ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। আর সোমবার দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন সঞ্জীব খান্না। প্রধান বিচারপতি পদে সঞ্জীব খান্নার শপথের পরই কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা হিতেশ জৈন। যে পদে সঞ্জীব খান্না এদিন শপথ নিয়েছেন, সেই পথে তাঁর কাকা প্রাক্তন বিচারপতি এইচআর খান্নাও শপথ নিতে পারতেন বলে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, শুধুমাত্র একটি কারণে দেশের প্রধান বিচারপতি হতে পারেননি এইচআর খান্না।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না একাধিকবার জানিয়েছেন, তাঁর কাকা এইচআর খান্নাকে দেখেই তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ৪৭ বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে পারতেন এইচআর খান্না। ১৯৭৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনিও। তার ৬ বছর আগে থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ করে এসেছেন।
কিন্তু, ১৯৭৭ সালে কেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে পারেননি এইচআর খান্না? বিজেপির মুম্বই প্রদেশের সহ সভাপতি হিতেশ জৈন এক্স হ্যান্ডলে অভিযোগ করেন, একটি কারণেই ৪৭ বছর আগে দেশের প্রধান বিচারপতি হওয়া হয়নি প্রয়াত প্রাক্তন বিচারপতি এইচআর খান্নার। ১৯৭৫ সালে দেশের জরুরি অবস্থা জারি করেছিল ইন্দিরা গান্ধী সরকার। এই সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের মধ্যে একমাত্র বিচারপতি এইচআর খান্না জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন। সেই কারণেই ১৯৭৭ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে পারেননি বলে দাবি করেন বিজেপি এই নেতা।
Justice Sanjiv Khanna being sworn in today as the 51st Chief Justice of India—a proud and poetic moment of justice. Not only is CJI Khanna a distinguished jurist, but his appointment also stands as retribution for the sacrifices made by his uncle, the late Justice HR Khanna.…
— Hitesh Jain (@HiteshJ1973) November 11, 2024
এই নিয়ে এদিন রাহুল গান্ধীকেও কটাক্ষ করেন হিতেশ জৈন। তিনি লেখেন, “রাহুল গান্ধী নিজেকে সংবিধানের রক্ষাকর্তা বলেন। আর এই কংগ্রেস ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। নিজেদের খেয়াল পূরণে সংবিধান বদলায়। আর যাঁরা গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে চান, তাঁদের শাস্তি দেয়।”