
নয়াদিল্লি: নাসা(NASA) থেকে ন্যাটো(NATO)। সর্বত্র তাঁর অবাধ বিচরণ। তাঁর পাণ্ডিত্যে অগাধ আস্থা রেখেছে বিশ্বের তাবড় সংস্থা। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বিজ্ঞানী বিবেক লাল। বছর ছাপান্নর এই বিজ্ঞানী বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়োগেতে অবস্থিত জেনারেল অ্যাটমিকস গ্লোবাল কর্পোরেশনের চিফ এগজিকিউটিভ।
এছাড়াও আরও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্থার যুক্ত এই বিজ্ঞানী। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হুভার ইনস্টিটিউশনের একজন ভিজিটিং ফেলো। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েরও একজন ভিজিটিং ফেলো। এছাড়া, ওয়াশিংটন ডিসির স্পেস পলিসি ইনস্টিটিউটের একজন স্কলার।
২০২৪ সালে তাঁকে সম্মানিত করে ব্রিটেনের সংসদ। সমালোচনামূলক এবং উদীয়মান প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য গত বছরের জুলাইয়ে ব্রিটেনের সংসদ তাঁকে সম্মানিত করে। একাধিক আন্তর্জাতিক নেতার উপস্থিতিতে ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড লিডার্স অ্যাওয়ার্ড তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। এছাড়াও একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। মহাকাশ ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য কেমব্রিজ থেকে স্বর্ণপদক পান। বিংশ শতাব্দীর ২০০০ সেরা বিজ্ঞানীদের একজন হিসেবে স্বীকৃতিও পান বিবেক লাল।
ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় ডক্টর বিবেক লালের ভূমিকা অপরিসীম। তাঁর দূরদৃষ্টির জেরে দুই দেশের একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিরক্ষা ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।
বছর ছাপান্নর ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন এই বিজ্ঞানী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করেছেন। ২০২৩ সালে কোয়াড ইনভেস্টরস নেটওয়ার্কের অ্যাডভাইসারি বোর্ডে তাঁকে সামিল করা হয়। NATO-র বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি সংগঠনে আমেরিকার টেকনিক্যাল টিম মেম্বার হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করা হয়। শুধু তাই নয়, আমেরিকার একাধিক চেম্বার অব কর্মাস বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। একসময় NASA-র অ্যামেস রিসার্চ সেন্টারে একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন।