
নয়া দিল্লি: জাতিভিত্তিক জনসুমারি করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকেই জনসুমারি শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মন্ত্রিসভার সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার বিবৃতি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এটা কোনও হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্ত নয়। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, জনসুমারির সময় এই ঘোষণা করা হবে। তাঁর দাবি, কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলি জাতিসুমারিকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করে। তারা সমাজকে বিভক্ত করার জন্য জাতিসুমারি করে বলে মন্তব্য করে তিনি।
জি কিষাণ রেড্ডি আরও জানান, ২০১১ তে কংগ্রেস সরকার জাতিসুমারি করেছিল, তবে তা ব্যর্থ হয়।
২০১০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জাতিসুমারির কথা বলেছিলেন। সেই সময় বিজেপিও সমর্থন করেছিল। তারপরও কংগ্রেস জাতিসুমারির বদলে শুধুই সমীক্ষা করেছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১১ সালে কংগ্রেস ৪৮৯৩.৬০ কোটি টাকা খরচ করে জাতিসুমারি করলেও তা ব্যর্থ হয়। সেই ফলাফল কখনও সামনে আসেনি।
বিগত কয়েক বছর ধরেই বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জাতিভিত্তিক জনসুমারির দাবি জানাচ্ছিল। চলতি বছরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিহারে নীতীশ কুমারের সরকার জাতি ভিত্তিক জনসুমারি করেছিল। তবে তখন বিহারে জেডিইউ, আরজেডি ও কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের ৩৬ শতাংশ জনগণ প্রান্তিক শ্রেণির, ২৭.১ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণির, ১৯.৭ শতাংশ জনজাতি ও ১.৭ শতাংশ উপজাতির নাগরিক।