Fake bail racket: টাকা দিলেই জামিন করে দেয় এই গ্যাং, কীভাবে জানুন

Fake bail racket: পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধৃতরা স্বীকার করেছেন যে ২০২০ সাল থেকে ভুয়ো পরিচয়পত্রকে কাজে লাগিয়ে ৫০০ থেকে ৭০০ অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিয়েছেন। জামিনদার হিসেবে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দেওয়া হত। আর অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা নিত এই গ্যাং।

Fake bail racket: টাকা দিলেই জামিন করে দেয় এই গ্যাং, কীভাবে জানুন
গ্রেফতার করা হয়েছে সাতজনকে

Jun 06, 2025 | 6:56 PM

গাজিয়াবাদ: আদালত জামিন মঞ্জুর করেছে। কিন্তু, জামিনদার পাওয়া যাচ্ছে না। তার জন্য অভিযুক্তকে জেলেই থাকতে হচ্ছে। আচমকা অভিযুক্ত জানতে পারলেন, জামিনদার পাওয়া গিয়েছে। জামিনও হয়ে গেল তাঁর। আর এই জামিন পেতে ১০-১৫ হাজার টাকা দিতে হল তাঁকে। কিন্তু, কীভাবে জামিনদার জোগাড় হল? কাহিনিতে এখানেই মোচড়। এক-দুই জন নয়, এমনভাবে ৫০০-৭০০ জন জামিন পেয়েছেন। আর সেইসব জামিনের তদন্তে নেমেই চক্ষু ছানাবড়া হল উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ পুলিশের। শেষ পর্যন্ত পর্দা ফাঁস হল ভুয়ো জামিন চক্রের। গ্রেফতার করা হল ৭ জনকে।

কীভাবে কাজ করত এই ভুয়ো জামিন চক্র? পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভুয়ো জামিন চক্রের মাথা একজন এলএলবি-র ছাত্র। তিনি জানেন, কীভাবে জামিন পাওয়া যায়। আদালত জামিন দিলেও কোনও বন্দি হয়তো জামিনদার জোগাড় করতে পারছেন না। এমন বন্দিদের জামিনের ব্যবস্থা করত এই গ্যাং।

পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের সদস্যরা প্রথমে ভুয়ো জামিনদারের জন্য একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করত। তারপর ওই ভুয়ো জামিনদার বেল বন্ড জমা দিত। ফলে জামিন মঞ্জুর হত অভিযুক্তের। পুলিশ জানিয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে জামিনের টাকার পরিমাণ কম, সেই মামলাগুলিকে নিশানা করত এই গ্যাং। কারণ, জামিনের টাকার পরিমাণ কম হলে তা যাচাই করার প্রয়োজন হয় না। ফলে জামিনদারের ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম।

পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধৃতরা স্বীকার করেছেন যে ২০২০ সাল থেকে ভুয়ো পরিচয়পত্রকে কাজে লাগিয়ে ৫০০ থেকে ৭০০ অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিয়েছেন। জামিনদার হিসেবে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দেওয়া হত। আর অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা নিত এই গ্যাং।

গাজিয়াবাদের এডিসিপি ক্রাইম পীযূষ সিং বলেন, অভিযুক্তদের কাছ থেকে পুলিশ প্রচুর পরিমাণে জাল নথি, ২১টি আধার কার্ড, ১৮টি জাল চিঠি, ল্যাপটপ, স্ট্যাম্প, জামিন বন্ড এবং অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে। গ্যাংটি চালাতেন বিকাশ ওরফে সম্রাট। তিনি এলএলবি ছাত্র। তিনি জাল নথি তৈরি শিখেছিলেন এবং তাঁর সহযোগীদেরও শিখিয়েছিলেন। পুলিশ তাঁর পলাতক সহযোগীদের খুঁজছে এবং খুব শীঘ্রই তাঁদেরও গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে পুলিশ আশাবাদী। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।