Constitution’s preamble: সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ সরানো নিয়ে বড় মন্তব্য আইনমন্ত্রীর

Constitution's preamble: সংসদে লিখিত জবাবে সরকারের অবস্থান জানিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, "সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে 'সমাজতান্ত্রিক' ও 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দ দুটি সরানো কিংবা পুনর্বিবেচনা নিয়ে এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কোনও পরিকল্পনা নেই। এটাই কেন্দ্রের সরকারি অবস্থান। প্রস্তাবনার কোনওরকম সংশোধনের জন্য সর্বসম্মতি ও দীর্ঘ আলোচনার দরকার। এই মুহূর্তে কেন্দ্র এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি।"

Constitutions preamble: সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ সরানো নিয়ে বড় মন্তব্য আইনমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালImage Credit source: PTI

Jul 25, 2025 | 4:19 PM

নয়াদিল্লি: ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি কি সরাতে কোনও পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র? এই নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। এবার এই প্রশ্ন উঠল সংসদেও। আর এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তিনি জানিয়ে দিলেন, ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি সরানো নিয়ে এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কোনও পরিকল্পনা নেই।

গতকাল সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামজিলাল সুমন সংসদে বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি সরানোর জন্য একটা পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে কিছু সামাজিক সংগঠন। তিনি এই নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চান। যার জবাবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, “এটা সম্ভব যে কিছু সংগঠন নিজেদের মত জানাচ্ছে কিংবা এই দুটি শব্দ বিবেচনার জন্য বলছে। এই কাজ গণ আলোচনার পরিসর তৈরি করতে পারে। কিন্তু, তাতে কখনই সরকারের অবস্থান প্রতিফলিত হয় না।”

সংসদে লিখিত জবাবে সরকারের অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন, “সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি সরানো কিংবা পুনর্বিবেচনা নিয়ে এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কোনও পরিকল্পনা নেই। এটাই কেন্দ্রের সরকারি অবস্থান। প্রস্তাবনার কোনওরকম সংশোধনের জন্য সর্বসম্মতি ও দীর্ঘ আলোচনার দরকার। এই মুহূর্তে কেন্দ্র এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি।”

তিনি আরও বলেন, “ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি সরাতে ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও আইনি কিংবা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু করেনি। সাধারণ কিংবা রাজনৈতিক পরিসরে হয়তো এই নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু, সরকারি স্তরে কোনও সিদ্ধান্ত কিংবা প্রস্তাব ঘোষণা করা হয়নি।