মুজফফরপুর: শোভাযাত্রা করে কনের বাড়িতে পৌঁছল বরযাত্রী। তাদের তিলক পরিয়ে স্বাগতও জানানো হয়। এরপর শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। রীতি মেনে একের পর এক অনুষ্ঠান চলতে থাকে। প্রথম বর ও কনের আলাদা আলাদা জায়গায় চলছিল অনুষ্ঠান। পরে এক মঞ্চে আনা হয় তাদের। বিয়ের সাজে কনেকে দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল উপস্থিত অতিথিরা। বরও ছিলেন অধীর অপেক্ষায়। কিন্তু কনের মুখ দেখেই রেগে লাল বর। বললেন, ‘কী হচ্ছে এটা?’
বিহারের মুজফফরপুরের ঘটনা। অন্যান্য কনের মতো ঘোমটায় মুখ ঢেকে উপস্থিত হন কনে। এরপর ঘোমটা সরাতেই মেয়ের মুখ দেখে চমকে যান বর। তিনি বলে ওঠেন, ‘আমার পাত্রী কোথায়, এই মেয়েটিই বা কে?’ বরের কথা শুনে বিয়েতে উপস্থিত লোকজনও হতবাক হয়ে যায়। ওই পাত্র জানান, যে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, এই তরুণী নন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই হইচই পড়ে যায় বিয়েবাড়ির মধ্যে। এই নিয়ে বর-কনের পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। সেই সময় কেউ পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরযাত্রীদের মুক্ত করে। এরপর বর ও কনেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
থানায় গভীর রাত পর্যন্ত চলে হাইভোল্টেজ নাটক। বর স্পষ্ট বলেন, আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আমি বিয়ে করব না। পুলিশ অফিসাররা উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। অবশেষে উভয় পক্ষই বিয়েতে রাজি হয়। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে বর সেই কনেকে নিয়ে থানা চত্বরে অবস্থিত সন্তোষী মায়ের মন্দিরের সাতবার প্রদক্ষিণ করেন।
ঘটনাটি বরুরাজ থানা এলাকার ধুমনগর বাখরি গ্রামের। গাইঘাট থেকে বিয়ের মিছিল গিয়েছিল ওই গ্রামে। থানার ওসি জানান, উভয় পক্ষকে বোঝানোর পর বর-কনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনও পক্ষেরই আর কোনও অভিযোগ নেই।