
নয়াদিল্লি: একসময় মাথা ভর্তি চুল ছিল। কিন্তু, দ্রুত চুল ঝরে পড়ছে। কোনও সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। চিন্তায় পড়েছেন। ভাবছেন কী করলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। গবেষণায় পতঞ্জলি এমন একটি সমাধান খুঁজে পেয়েছে, যা শুধু চুল পড়া বন্ধ করবে না, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে। যাঁদের টাক রয়েছে, তাঁরাও উপকৃত হবেন। পতঞ্জলির আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের একটি টিম ৬ সপ্তাহ ধরে অনেক রোগীর উপর গবেষণা চালিয়েছে। যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়, তাতে দেখা গিয়েছে, শুধু চুল পড়া বন্ধ হয়নি। নতুন চুলও গজাতে শুরু করেছে। গবেষণাটি প্রকাশও করেছে পতঞ্জলি।
বর্তমান লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভাসের কারণে চুল পড়া ও টাকের সমস্যা সাধারণ হয়ে উঠেছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছেন অনেকে। পরচুলা ও চুল প্রতিস্থাপনের পথেও হাঁটেন অনেকে। তবে তা সম্পূর্ণ কার্যকর বলে প্রমাণিত নয়। টাকের ক্রমবর্ধমান সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে পতঞ্জলি এই নিয়ে গবেষণা করে। গবেষণায় চমকপ্রদ ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে চিকিৎসায় টাকের সমস্যার স্থায়ী সমাধানও পাওয়া গিয়েছে। পতঞ্জলির গবেষণাটি ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিতও হয়েছে।
গবেষণার জন্য পতঞ্জলি এমন মানুষজনকে বেছে নিয়েছিল, যাঁদের চুল পড়ে যাচ্ছিল। মাথার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে চুল ঝরে পড়ছিল। চুল ঝরে পড়া বন্ধ করতে একাধিক পদ্ধতিতে চিকিৎসাও করায়। কিন্তু, কোনও চিকিৎসাতেই উপকৃত হননি। অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটাতে আক্রান্ত কিছু রোগীকে পতঞ্জলিতে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হয়।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাত ও পিত্তের সমস্যার কারণে চুল পড়ে। এর উপর ভিত্তি করেই চিকিৎসা করা হয়। ৬ সপ্তাহের মধ্যে কেবল চুল পড়াই বন্ধ হয়নি, নতুন চুল গজাতেও শুরু করে। অনেকে চুল ঝরে পড়ার সমস্যা নিয়ে অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে উপকৃত হয়েছিলেন। পরে আবার চুল ঝরে পড়ার সমস্যা শুরু হয়। তাঁদের পতঞ্জলিতে চিকিৎসা করা হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যদি বাত ও পিত্ত নিয়ন্ত্রণে রেখে চুল ঝরে পড়ার সমস্যার চিকিৎসা করা হয়, তাহলে চুল ঝরে পড়ার সমস্যা দূর হয় এবং চুল গজাতে শুরু করে। এবং এটা স্থায়ী সমাধান। এই নিয়ে আরও গবেষণার পরিসর রয়েছে বলে পতঞ্জলির তরফে বলা হয়েছে।