
পহেলগাঁও: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে থাকতে পারে হামাসের ব্লু প্রিন্ট! এমনটাই দাবি করছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু কেন এই দাবি? সূত্রের খবর, পর পর বেশ কয়েকটি ঘটনাক্রমকে এক জায়গায় আনতেই জোরাল হচ্ছে এই দাবি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে গাজা থেকে দক্ষিণ ইজরায়েলের আস্কালান থেকে শুরু করে সেদ্রাতের মতো পর্যটকে ভরা শহরে ঢুকে পড়েছিল হামাস জঙ্গিরা। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে প্রায় ১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল। প্রচুর মানুষকে পণবন্দি করে নিয়ে যায়। সেই একই ধরনের হামলা দেখা যাচ্ছে পহেলগাঁওতে। তাহলে ইজরায়েল থেকে হামাসের যোগসূত্রটা কোথায়?
সূত্রের খবর, এই যোগসূত্রই বর্তমানে বের করেছেন গোয়েন্দারা। ৫ মে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিভিন্ন সময়ে কাশ্মীর সলিডিরিটি ডে হিসাবে পালন করা হয়। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন ওই দিনই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে উপস্থিত ছিলেন হামাসের মুখপাত্র খালিদ কাদমি সহ একাধিক নেতা। সূত্রের খবর, ছবি সহ তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। ওই সময় থেকেই হামাস নেতাদের উপস্থিতিতে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছিলেন গোয়েন্দারা। এর আগে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে হামাসের যোগাযোগ দেখা না গেলেও তবে কী সম্প্রতি মাথাচাড়া দিয়েছে নতুন সমীকরণ?
পরবর্তীতে আসা তথ্যে দেখা যায়, সলিডিরিটি ডে-তে একাধিক বৈঠকে, মিছিলে হামাস নেতাদের সঙ্গে দেখা যায় লস্কর ও জইশ নেতাদের। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লঞ্চ প্যাডগুলিতে হামাস নেতাদের উপস্থিতিও চিন্তা বাড়িয়েছিল গোয়েন্দাদের। কারণ, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কোনও অনুষ্ঠানে হামাস নেতারা এলে তা পাক সরকারের অনুমোদন ছাড়া সম্ভবই নয় বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের। সে কারণেই নেপথ্যে আইএসআই যোগ নিয়ে বাড়তে থাকে চিন্তা। তবে কী তলে তলে সবটাই জানত পাকিস্তান?
এই সব তথ্য জুড়েই গোয়েন্দাদের সন্দেহ পহেলগাঁওয়ের ঘটনার নেপথ্যে থাকতে পারে হামাস যোগ। জঙ্গিদের নেতৃত্ব ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও থাকতে পারে হামাসের যোগ। অন্যদিকে ভারতে থাকা ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতও এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বলে খবর। তিনিও স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই ব্লু প্রিন্টের সঙ্গে মিল তিনি খুঁজে পাচ্ছেন। হামাসের সঙ্গে এখানকার জঙ্গিদের সক্রিয় যোগাযোগ থাকতে পারে। আর তা যদি সত্যি হয় তা হলে তা নিয়ে চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।