নয়া দিল্লি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)র সঙ্গে দেখা করলেন হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুশ্যন্ত চৌটালা (Dushyant Chautala)। কৃষক আন্দোলন ঘিরে হরিয়ানায় যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে হরিয়ানার জোট সরকারেও। আন্দোলনকারীদের সমর্থক হিসাবেই পরিচিত দুশ্যন্ত চৌটালা গতকালই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অমিত শাহ (Amit Shah)-র সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (Manohar lal Khattar)-ও।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একঘণ্টার বৈঠকের পর হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এম এল খট্টর ও উপমুখ্যমন্ত্রী দুশ্যন্ত চৌটালা বেরিয়ে এসে বলেন, “সরকার ভাঙার কোনও সম্ভাবনা নেই। পাঁচ বছরের মেয়াদই সম্পূর্ণ করবে জোট সরকার।” কৃষি আইন প্রয়োগে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত সম্পর্কেও তাঁরা জানান, আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকালের বৈঠকের পর দুই জোটসঙ্গীর মধ্যেকার সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে বলে মনে করা হলেও আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দুশ্যন্তের বৈঠক নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে দলীয় সূত্রে কিছু না জানানো হলেও দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলন ও হরিয়ানায় শাসক দলের উপর তার প্রভাব নিয়েই আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কেবল টিকাকরণ প্রক্রিয়াই নয়, ১৬ তারিখে কো-উইন অ্যাপেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সরকার ভাঙার কোনও আশঙ্কা নেই বললেও তিনি এর আগে কৃষক আন্দোলনের সমাধান না হলে এবং ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি না দিতে পারলে সরকার ভেঙে বেরিয়ে যাবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এরপরই তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা।
জননায়ক জনতা পার্টির অধিকাংশ সমর্থকই কৃষক। এছাড়া দলের সদস্যরাও কৃষক আন্দোলনের সমর্থন করছেন বলেই সূত্রের খবর। কৃষক আন্দোলনের জেরে এর আগে পঞ্জাব ও রাজস্থানে জোটসঙ্গী খুইয়েছে বিজেপি(BJP)। হরিয়ানাতেও যাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই কারণেই জেজেপি(JJP) প্রধান তথা উপমুখ্যমন্ত্রী দুশ্যন্ত চৌটালার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় বিজ্ঞানীদের ওপর আস্থা নেই, এমন মুসলমানরা পাকিস্তান চলে যান’