একমাস আগেই সতর্কবার্তা, ট্রাক্টরে চালিয়ে এসে ইস্তফা দিলেন হরিয়ানার বিধায়ক

গতমাসেই তিনি রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার গিয়ান চন্দ্র গুপ্তের কাছে একটি চিঠি লিখে বলেছিলেন, "যদি জানুয়ারি মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এই কালা আইন প্রত্যাহার না করে, তবে এই চিঠিকেই যেন তাঁর পদত্যাগ পত্র হিসাবে গ্রহণ করা হয়।"

একমাস আগেই সতর্কবার্তা, ট্রাক্টরে চালিয়ে এসে ইস্তফা দিলেন হরিয়ানার বিধায়ক
স্পিকারের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দিচ্ছেন অভয় সিং চৌটালা। ছবি:ANI
Follow Us:
| Updated on: Jan 27, 2021 | 7:06 PM

চণ্ডীগঢ়: কেন্দ্র নয়া তিন কৃষি আইন সমর্থন করেন না তিনি, তা আগেই জানিয়েছিলেন। দু’সপ্তাহ আগেই কার্যত হুমকি দিয়েছিলেন, “আইন প্রত্যাহার না করা হলে তিনি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করবেন”। বুধবার সেটিই করে দেখালেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (Indian National Lok Dal)-র বিধায়ক অভয় সিং চৌটালা (Abhay Singh Chautala)। ট্রাক্টর চালিয়ে এসে হরিয়ানা বিভানসভা থেকে তিনি ইস্তফা দিলেন।

কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই চৌটালা পরিবার থেকে রাজ্য প্রশাসনের উপর চাপ আসছে। গত মাসেই অভয় সিংয়ের বাবা ওম প্রকাশ চৌটালাও আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-কে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁর ছেলে দুশ্যন্ত সিং চৌটালা, যিনি হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী, তিনিও একই দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, “যদি সরকার কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি না দিতে পারেন, তবে তিনি পদত্যাগ করবেন”।

আরও পড়ুন: সহকর্মীর সঙ্গে ঝামেলা! কলেজের সামনেই গুলি করে খুনের চেষ্টা বিজেপি মুখপাত্রকে

একই সুরে অভয় সিং চৌটালাও দুই সপ্তাহ আগে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন। গতমাসেই তিনি রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার গিয়ান চন্দ্র গুপ্তের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি বলেন, “যদি জানুয়ারি মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এই কালা আইন প্রত্যাহার না করে, তবে এই চিঠিকেই যেন তাঁর পদত্যাগ পত্র হিসাবে গ্রহণ করা হয়।” আজ তিনি নিজেই সবুজ রঙের একটি ট্রাক্টর চালিয়ে চণ্ডীগঢ়ে বিধানসভা চত্বরে হাজির হন। সেখানে তিনি নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দেন।

দুশ্যন্ত সিং চৌটালার জননায়ক পার্টি ও অভয় সিং চৌটালার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের ভোটের অধিকাংশই আসে কৃষকদের তরফ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই কৃষি আইন জারি হওয়ার পর তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। গতমাসের চিঠিতে অভয় সিং চৌটালা বলেছিলেন, “কেন্দ্র কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করায় এখনও অবধি ৬০জনেরও বেশি কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই আত্মহত্যা। বিধানসভার একজন দায়িত্ববান সদস্য হিসাবে আমি এই আন্দোলনে যেকোনও ভূমিকা পালন করতে রাজি।”

কেন্দ্রের তরফ থেকে কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে ১১ দফা বৈঠক করা হলেও এখনও অবধি কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এদিকে বিভিন্ন রাজ্যে এই আইন কেন্দ্র করে শাসক দল বিজেপির উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে পঞ্জাবের অকালি দল শিরোমণি ও রাজস্থানে বিজেপির জোটসঙ্গীও কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই জোট ভেঙে বেরিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: অভিযোজিত করোনাভাইরাস রুখতেও সক্ষম কোভ্যাক্সিন, দাবি বায়োটেকের