
নয়াদিল্লি: এখনই রেহাই পাবে না নির্বাচন কমিশন। একেবারে শেষ পর্যন্ত দেখবে দেশের শীর্ষ আদলত। বৃহস্পতিবার বিহারে হওয়া ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জনের শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে চলছিল শুনানি। আপাতত এসআইআর-এ বাদ পড়া ভোটারদের তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে কমিশনকে সময় দেওয়ায় বিশ্বাসী সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতের কাছে একটি আবেদন জমা করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। দ্রুত বিহারে এসআইআর-র জেরে বাদ পড়া ভোটারদের নামের তালিকা প্রকাশের জন্য় কমিশনকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। প্রশান্ত ভূষণের সেই আবেদনের পাল্টা বিচারপতি সূর্য কান্তের পর্যবেক্ষণ, ‘এখনই গোটা মামলার ফয়সালা বা নিষ্পত্তি করছি না। আমাদের কোনও সন্দেহই নেই যে ওরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবেন। সর্বোপরি, বাধ্যতামূলক ভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে তাঁদের।’
শুধুই বাদ পড়া ভোটারের নাম প্রকাশ করলেই হবে না। সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে জমা দেওয়া আবেদনে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের দাবি, ওই ভোটারদের নাম কেন বাদ পড়ল, সেই কারণও নির্বাচন কমিশনকে ব্যাখ্যা করতে হবে। তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, ‘নতুন তালিকায় যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে, তাঁদের কোনও তালিকা কমিশন এখনও প্রকাশ করেনি। বাদ পড়াদের নাম জানাতে কেন এত অস্বস্তি?’
পাল্টা কমিশনের হয়ে সওয়ালকারী রাকেশ দ্বিবেদীর যুক্তি, ‘আমরা সময় মেপে, নির্দেশ মোতাবেকই কাজ করছি। তারপরেও প্রশান্ত ভূষণ কেন বারংবার একই দাবি করে যাচ্ছেন?’ অবশ্য দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক শোনার পর কমিশনকে সময় দেওয়াতেই জোর দেয় শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘দেখি ওরা কী প্রকাশ করে।’ উল্লেখ্য, শেষ শুনানিতে বিহারের এসআইআর-এ নাম বাদ পড়া ভোটারদের জন্য় আইনি সহায়তার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিহারের স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথোরিটিকে ‘মানুষের পাশে দাঁড়ানোর’ বার্তা দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। অবশ্য সুপ্রিম নির্দেশের পরেও তাঁদের কাছে কোনও সাহায্য়প্রার্থীই আসেননি বলেই জানিয়েছেন কমিশনের আইনজীবী। এদিনের শুনানিপর্বে কমিশনের হয়ে সওয়ালকারী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, ‘বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদানের নির্দেশের পরেও নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত নাম বাদ পড়া নিয়ে কোনও ভোটারের থেকে আবেদন পায়নি।’ এই মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ঠা নভেম্বর।