Supreme Court: ‘অন্য কারও সঙ্গে বাঁধো ঘর’, প্রেমিক কি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছেন?

Feb 13, 2024 | 3:30 PM

Supreme Court: মামলাকারী ব্যক্তির প্রেমিকা আত্মহত্যা করার পর তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় অর্থাৎ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা হয়। কিন্তু মামলা খতিয়ে দেখার পর সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এ ক্ষেত্রে ৩০৬ ধারা যথার্থ নয়, কারণ এই মামলায় প্রেমিকের কোনও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না।

Supreme Court: অন্য কারও সঙ্গে বাঁধো ঘর, প্রেমিক কি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছেন?
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: সম্পর্ক ভাঙে, হৃদয় ভাঙে… কিন্তু তাই বলে আত্মহত্যা করতে হবে! এ কথা মানতে নারাজ দেশের শীর্ষ আদালত। হৃদয় ভাঙা প্রাত্যহিক জীবনের অঙ্গ বলে উল্লেখ করল সুপ্রিম কোর্ট। আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন অভিযুক্ত প্রেমিক। ওই মামলায় বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি কে বি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, এ ক্ষেত্রে প্রেমিকা তখনই আত্মহত্যা করেছিলেন, যখন অভিযুক্ত প্রেমিক তাঁকে বাবা-মায়ের পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এটা কোনও প্ররোচনা দেওয়ার মতো কথা নয় বলেই মনে করছে আদালত।

ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া বা হৃদয় ভেঙে যাওয়া প্রতিদিনের জীবনের অঙ্গ। তাই প্রেমিক যদি অন্য কাউকে বিয়ের পরামর্শ দিয়ে থাকে, তাহলে তা আত্মহত্যার প্ররোচনা হিসেবে গণ্য হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত তথা মামলাকারী যুবক সেটাই করেছিল।

মামলাকারী ব্যক্তির প্রেমিকা আত্মহত্যা করার পর তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় অর্থাৎ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা হয়। কিন্তু মামলা খতিয়ে দেখার পর সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এ ক্ষেত্রে ৩০৬ ধারা যথার্থ নয়, কারণ এই মামলায় প্রেমিকের কোনও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা থাকলে তবেই ৩০৬ ধারায় মামলা হতে পারে বলেও উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে মামলা খারিজ করার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই যুবক। হাইকোর্ট তা খারিজ না করায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই যুবক।

সুপ্রিম কোর্ট আরও ব্যাখ্যা করেছে যে, এই যুবক তাঁর প্রেমিকাকে যা বলেছিলেন, তা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঘনিষ্ঠ জনদের সঙ্গে বচসা বা ঝগড়া হলে এই ধরনের কথা হয়েই থাকে। তাই এটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া বলে ধরা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা তখনই করা যায়, যখন কেউ দিনের পর দিন এমন কিছু করে বা বলে যাতে কারও কাছে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।

Next Article