‘বাড়ি ফিরে যান’ আন্দোলনকারীদের অনুরোধ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর, রাজ্যে জারি হাই অ্যালার্ট
লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলনের ঘটনার সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, "প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় অন্য পতাকা উত্তোলনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। কোনও ভারতীয়ই লালকেল্লায় তিরঙ্গার বদলে অন্য কোনও পতাকা উত্তোলনের ঘটনাকে মেনে নেবে না।"
চণ্ডীগঢ়: প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল রাজধানী দিল্লি। এরপরই মঙ্গলবার বিকেলে চণ্ডীগঢ়ে তড়িঘড়ি একটি বিশেষ বৈঠকে বসেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (Manohar lal Khattar)। মন্ত্রীসভার এই বৈঠক থেকেই তিনি আন্দোলনকারী কৃষকদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার আবেদনও জানালেন।
মন্ত্রীসভার বিশেষ বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কৃষক সংগঠনগুলির তরফে বলা হয়েছিল শান্তিপূর্ণভাবেই ট্রাক্টর মিছিল করা হবে। কিন্তু যা ঘটল, তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে আন্দোলন কৃষক সংগঠনের নেতাদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। বর্তমানে আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ এমন শক্তির হাতে চলে গিয়েছে যাদের লক্ষ্য কৃষকদের লক্ষ্যের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা।” একইসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করে কৃষকদের আন্দোলনের পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কেও প্রশ্ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য সরকারের তরফে জারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজকের বিশেষ বৈঠকে সম্পূর্ণ হরিয়ানা ক্যাবিনেটের তরফ থেকেই আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে তাঁরা যেন বাড়ি ফিরে যান। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের সকলকে একজোট হয়ে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ রোধ করা প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।”
আরও পড়ুন: নাবালিকা যৌন নিগ্রহে বম্বে হাইকোর্টের ‘বিপজ্জনক’ পর্যবেক্ষণে স্থগিতাদেশ
লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলনের ঘটনার সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, “প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় অন্য পতাকা উত্তোলনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। কোনও ভারতীয়ই লালকেল্লায় তিরঙ্গার বদলে অন্য কোনও পতাকা উত্তোলনের ঘটনাকে মেনে নেবে না। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও দেশের জন্য শহিদের প্রতি অপমান। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা এইধরণের ঘটনা দেখার জন্য স্বাধীনতার লড়াই লড়েননি।”
অন্যদিকে এক সরকারি মুখপাত্র জানান, গতকাল দিল্লিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পর রাজ্যেও হাই অ্যালার্ট জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেল পাঁচটা অবধি সোনিপত, পালওয়াল ও ঝাজ্জর জেলায় ভয়েসকল ছাড়া সমস্ত এসএমএস পরিষেবা (ব্যাঙ্কিং ও রিচার্জ ব্যতীত) ও ইন্টারনেট পরিষেবা (২জি, ৩জি, ৪জি, সিডিএমএ ও জিপিআরএস) বন্ধ রাখা হবে। মূলত এই তিনটি জেলার জনশৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেই কারণেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেল থেকে মুক্তি পেলেন শশীকলা, আপাতত ঠাই হাসপাতালেই